দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডে দোষীদের কবে ফাঁসি হবে এ নিয়ে জল্পনার মাঝে কলকাতা হাইকোর্টে উঠে এল ৬ বছর আগের কামদুনি গণধর্ষণ কাণ্ড। দোষীরা কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন, নিম্ন আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য। কিন্তু উচ্চ আদালতে মামলাটির এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।
ইতিমধ্যেই মামলার দ্রুত শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য নির্যাতিতার ভাই ও এলাকার এক মাস্টারমশাই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে বুধবার তাঁরা আবেদন জানান মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য । রেজিস্ট্রার জেনারেল তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে। বর্তমানে কামদুনি গণধর্ষণের আপিল মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।
২০১৩ সালের ৭ জুন উত্তর ২৪ পরগণার বারাসতের কামদুনি গ্রামের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে অপহরণ করে একটি পরিত্যক্ত কারখানার মধ্যে তুলে নিয়ে গিয়ে ৮ জন গণধর্ষণ এবং নৃশংসভাবে খুন করে। কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি কলকাতার নগর দায়রা আদালত আনসার আলি, সাইফুল আলি এবং আমিনুর আলিকে ফাঁসির সাজা শোনায়৷ ইমানুল ইসলাম, ভোলা নস্কর এবং আমিনুর ইসলামকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় আদালত এবং শেখ আমিন ও রফিকুল গাজিকে বেকসুর খালাস করে নিম্ন আদালত।
দোষীরা নিম্ন আদালতের সাজা পুনর্বিবেচনার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আপিল করে। কিন্তু মামলাটির এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। মামলার দ্রুত শুনানি ও নিষ্পত্তির আর্জি জানাতে নির্যাতিতার ভাই এবং ওই এলাকার মাস্টারমশাই প্রদীপ মুখোপাধ্যায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।