কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু ভিলেজ পুলিশের, মুখ্যমন্ত্রীর সহায়তায় স্ত্রী পেলেন চাকরি

  • কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল ভিলেজ পুলিশের
  • পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য মারা যাওয়ায় বিপাকে পরিবার
  • চাকরির জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন
  • ৬ মাসের মধ্যে মৃতের স্ত্রী পেলেন চাকরি 

Parna Sengupta | Published : Jun 4, 2021 4:00 AM IST

কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল ভিলেজ পুলিশের। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য মারা যাওয়ায় বিপাকে পড়ে ছিল পরিবার। পরিবারের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল একটি চাকরির। আবেদনে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহায়তায় চাকরি পেলেন মৃত পুলিশ কর্মীর স্ত্রী। ৬ মাসের মধ্যে চাকরি পেয়ে আপ্লুত ওই পরিবার। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ডিউটি করতে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিলেজ পুলিশ অলোক থোকদার। মৃত ভিলেজ পুলিশের পরিবারের আবেদনের সাড়া দিয়ে ৬ মাসের মধ্যেই ওই পুলিশ কর্মীর স্ত্রী বিউটি দাস থোকদারকে কুশিদা অঞ্চলের ভিলেজ পুলিশ হিসেবে নিয়োগ করা হয়। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় নিয়োগ পত্র। 

এ প্রসঙ্গে অলোক থোকদারের স্ত্রী বিউটি দেবী জানিয়েছেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যকে হারিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন তাঁরা। রাজ্য সরকার পাশে দাঁড়ানোয় ভিলেজ পুলিশ হিসাবে চাকরি পেয়ে এবার হয়ত সুদিনের মুখ দেখবেন। এ জন্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 

গত বছর ভালুকা এলাকায় কর্তব্যরত অবস্থায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে মারা যাওয়া সিভিক ভলেন্টিয়ার গৌতম ভগতের স্ত্রী রিতা ভগতের হাতেও সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মৃত সিভিক পুলিশ গৌতম ভগতের স্ত্রী গীতা সাহা ভগত বলেন,"২০১৯ সালে আমার স্বামী পথ দুর্ঘটনায় মারা যায়। সেই আমাদের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিল। ফলে আমরা খুব সমস্যায় পড়ে যাই। চাকরির জন্য আইসি সাহেবের কাছে আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদন তিনি রাজ্য সরকারের কাছে পাঠান। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের আবেদন গ্রহণ করেছেন। আমি সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে চাকরি পেলাম। মুখ্যমন্ত্রীকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই। সাথে ধন্যবাদ জানাই আইসি সাহেবকেও। হরিশ্চন্দ্রপুর আইসি সাহেব দুর্দিনে আর্থিকভাবেও আমাদের সাহায্য করেছেন।"

এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান এটা খুব প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তাছাড়া রাজ্য সরকার আগেই ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের কোন সিভিক বা ভিলেজ পুলিশ মারা গেলে তার জায়গায় তার পরিবারের একজন সদস্যকে চাকুরীতে নিয়োগ করা হবে। উনি আজই কাজে যোগ দেবেন।

 পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে ছিল ওই দুই পরিবার। তবে দ্রুত চাকরি মিলে যাওয়ায় হাসি ফুটেছে পরিবারের মুখে। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা।

Share this article
click me!