বিশ্বভারতীকাণ্ডে এবার মুখ্যসচিবকে লেখা উপাচার্যের চিঠি তুলে টুইট রাজ্যপালের। উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর ছাত্রবাস পাঠভবনে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রমৃত্যুর জেরে প্রধান ফটকের তালা ভেঙে মৃত ওই ছাত্রের দেহ নিয়ে উপাচার্যের বাড়িতে ঢুকে পড়লেন মৃতের আত্মীয় এবং ছাত্ররা।
বিশ্বভারতীকাণ্ডে এবার মুখ্যসচিবকে লেখা উপাচার্যের চিঠি তুলে টুইট রাজ্যপালের। উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর ছাত্রবাস পাঠভবনে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রমৃত্যুর জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল ক্যাম্পাসে। উপাচার্যের বাড়ির সামনে চলছিল বিক্ষোভ। আর এবার তা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রধান ফটকের তালা ভেঙে মৃত ওই ছাত্রের দেহ নিয়ে উপাচার্যের বাড়িতে ঢুকে পড়লেন মৃতের আত্মীয় এবং ছাত্ররা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কিত বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সাহায্যের আবেদন চেয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখে পাঠিয়েছেন তিনি। উপাচার্যের সেই বার্তা জানিয়ে এার টুইট করলেন খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
টুইটে উপাচার্য লিখেছেন, ' পুলিশকে হস্তাক্ষেপ করার আর্তি জানিয়ে উপাচার্য মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, দয়া করে নিরাপত্তা দিন।ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে আমার জীবন। আন্দোলনকারীরা প্রধান ফটক ভেঙে দিয়েছে। আমার জন্য পুলিশ নিরাপত্তা না পাঠালে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এটি একটি বিপদ বার্তা।' যদিও পাল্টা টুইট করে মুখ্যসচিব লিখেছেন, আমি খবর পেয়েছি। ডিজিপি, ডিএম, এসপিকে সতর্ক করেছি। আমি নজর রাখছি।'
আরও পড়ুন, হরিদেবপুরে বিপুল পরিমাণ বোমা ও অস্ত্র উদ্ধার, তদন্তে নামল পুলিশ
প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত মূলত বৃহস্পতিবার সকালে। উত্তর শিক্ষায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র অসীম দাসের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ছাত্রাবাসের নিজস্ব ঘর থেকে। তড়িঘড়ি করে বিশ্বভারতীর নিজস্ব পিয়ারসন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও। তবে হাসাপাতালে নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপেরই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে খুন, প্রমাণ লোপাট এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের বাবা। তদন্ত শুরু করেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। এই অভিযোগ নিয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিল প্রথমে মৃত ছাত্রের পরিবার এবং পড়ুয়ারা। তবে এই মুহূর্তে তা আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রধান ফটকের তালা ভেঙে মৃত ওই ছাত্রের দেহ নিয়ে উপাচার্যের বাড়িতে ঢুকে পড়েছেন মৃতের আত্মীয় এবং ছাত্ররা।
আরও পড়ুন, 'জাহাঙ্গিরপুরীতে তৃণমূল যাচ্ছে, বাঁকুড়ায়-শিবপুরে-ইসলামপুরে কে যাবে', বিস্ফোরক দিলীপ
আরও পড়ুন, ফের দিল্লিতে মুখোমুখি মোদী- মমতা, কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের মাঝেই হতে পারে বৈঠক
এদিকে শুক্রবার ছাত্র মৃত্যুর ইস্যুতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখিয়েছেন অসীমের মা-বাবা। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনাটি ঘটার পর তাঁদের সঙ্গে কথা বলা তো তো দূরের কথা, দেখাও করেননি উপাচার্য। এমনকি ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁরা হোস্টেলে এসে পৌঁছনোর আগেই অসীমের ডেথ সার্টিফিকেটও লিখে ফেলা হয় বলে অভিযোগ করেছে মৃত ছাত্রের পরিবার।