বাংলায় প্রচারে এসে দলবদল নিয়ে বড়সড় দাবি করে বসলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। পূর্ব মেদিনীপুরপের ময়নায় এসে বিপ্লবের দাবি, ভোটের ফল বেরোলেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেবেন পরিবহণমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রত্যাশিতভাবেই বিপ্লবের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু।
রবিবার শুভেন্দুর গড় পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক এবং কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। দুই কেন্দ্রে প্রার্থী যথাক্রমে শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এবং বাবা শিশির অধিকারী। তাঁদের হয়ে জোর কদমে প্রচারও সেরেছেন পরিবহণমন্ত্রী।
কিন্তু ভোটের ঠিক আগে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় প্রচারে এসে শুভেন্দুকেই অস্বস্তিতে ফেলতে চাইলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। ময়নার সভায় বিজেপি নেতা দাবি করেন, ভোটের ফল বেরোলেই তৃণমূলের অধিকাংশ বিধায়ক দল ছেড়ে বিজেপি-তে নাম লেখাবেন। সেই তালিকায় থাকবেন শুভেন্দুও। বিপ্লব বলেন,"তৃণমূলের একশো এমএলএ তৈরি হয়ে বসে আছেন। ২৩ মে-র পরে কেউ আর দিদির পিছনে থাকবেন না। সবাই মোদীর পিছনে চলে যাবেন। তখন দেখবেন আপনাদের শুভেন্দু অধিকারীও আর তৃণমূলে নেই, উনিও বিজেপি-তে চলে গিয়েছেন। "
এর জবাবে শুভেন্দু পাল্টা কটাক্ষ করে বলেন, মানসিক সমস্যা থেকেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এমন অবাস্তব দাবি করছেন। শুভেন্দু বলেন, " রোদে প্রচারে এসে ওনার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে. আমি ওনাকে বলব কলকাতায় গিয়ে অবশ্যই একজন মানসিক ডাক্তারের পরামর্শ নিতে। "
অনেক দিন ধরেই রাজ্য বিজেপি নেতারা দাবি করছিলেন, ভোটের পরে বহু তৃণমূল নেতাই বিজেপি-তে যোগ দেবেন। কিন্তু গত মাসে এ রাজ্যে প্রচারে এসে এই জল্পনা আরও উস্কে দেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দাবি করেন, চল্লিশজন তৃণমূল বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এর পর থেকেই এই দাবিকে ঘিরে জোর তরজায় জড়ায় তৃণমূল এবং বিজেপি। তবে এতদিন কোনও সরাসরি কোনও তৃণমূল বিধায়ক বা নেতাদের নাম বলছিলেন না বিজেপি নেতারা। কিন্তু খোদ শুভেন্দুর গড়ে এসে তাঁর নাম করে দলবদলের জল্পনাকে আরও একবার উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।