রিকশা চালক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু যাঁর তৎপর হওয়া দরকার ছিল, সেই তিনিই চরম উদাসীনতা দেখালেন। ফলে ফের একবার সরকারি হাসপাতালে এসে চিকিৎসা না পাওয়া অভিযোগ উঠল হুগলির চন্দননগরে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে চন্দননগর তেমাথার কাছে একটি স্কুলের সামনে এক বৃদ্ধকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন শ্যামল দাস নামে এক রিকশা চালক। স্থানীয়দের সাহায্যে শ্যামলবাবু ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে রিকশাতে করেই চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দারা ওয়ার্ড মাস্টারকে ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু শুরু থেকেই দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। এমন কী, রোগী ভর্তি করা তাঁর কাজ নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা। যার জেরে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
পুলিশের হস্তক্ষেপে পরে ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন যে আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ততক্ষণে বৃদ্ধের পরিবারের সদস্যরাও হাসপাতালে চলে এসেছেন। জানা গিয়েছে, মৃত বৃদ্ধের নাম পাঁচু চক্রবর্তী (৭৬)। তিনি চন্দননগরের দিনেমার ডাঙা এলাকায় তাঁর বাড়ি। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, হাটখোলা এলাকায় একটি বহুতলে নাইট গার্ড- এর কাজ করতেন তিনি। স্থানীয়দের অনুমান, কাজ থেকে ফেরার পথেই অসুস্থ হয়ে রাস্তার উপরে পড়ে যান ওই বৃদ্ধ। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারের ভূমিকায় বৃদ্ধের পরিবারও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।