মাধ্যমিক অ্য়াডমিট কার্ড দেওয়া হবে কবে এবং কোনও ভুল থাকলে কবে মধ্যে সংশোধনের আবেদন করতে হবে, এনিয়ে রাজ্যের স্কুলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠাল পর্ষদ।
মাধ্যমিক (WB Madhyamik Exam) অ্য়াডমিট কার্ড বিলির দিনক্ষণ ঘোষণা করল মধ্য়শিক্ষা পর্ষদ। ২৩ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড বিতরণ করতে হবে। কোনও ভুল থাকলে ৪ মার্চের সংশোধনের আবেদন করতে হবে। এনিয়ে রাজ্যের স্কুলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠাল পর্ষদ। উল্লেখ্য ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা। স্কুলগুলিকে ৪ মার্চের মধ্যে প্র্য়াকটিক্যাল নিতে হবে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীরা চাইলে স্কুলে এসে বা অনলাইনে এই পরীক্ষা দিতে পারবে। প্র্যাকটিক্যালের ১২ টি বিষয়ের লিঙ্ক প্রকাশ করেছে সংসদ। রাজ্যের স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের বলা হয়েছে যে, ১৫ মার্চের পর ছাত্র-ছাত্রীদের নম্বর জমা দিতে হবে। এবার নিজের স্কুলেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে আগের মতোই অন্য জায়গায় মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৯ হাজার ৯৯১ টি স্কুলের পড়ুয়া। ৭ মার্চ বাংলা, ৮ মার্চ ইংরেজি, ৯ মার্চ ভুগোল, ১১ মার্চ ইতিহাস, ১২ মার্চ জীবনবিজ্ঞান ১৪ মার্চ অঙ্ক, ১৫ মার্চ ভোতবিজ্ঞান, ১৬ মার্চ ঐচ্ছিক বিষয়। ২ এপ্রিল শুরু হবে উচ্চ মাধ্য়মিক। শেষ হবে ২০ এপ্রিল। উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্য়াকটিক্যাল পরীক্ষায় কোনও প্রশ্ন পাঠাবে না সংসদ। স্কুলগুলি মূল্য়ায়ন করে তাঁরা নম্বর সংসদে পাঠাবে। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক টেস্ট হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই প্রশ্ন করা এবং খাতা দেখা দুই দায়িত্বই ছিল স্কুলের।
আরও পড়ুন, ফের সংক্রমণ বাড়ল রাজ্যে, বাঁকুড়ায় আক্রান্ত বেড়ে প্রায় ৫ গুণ, কোভিডে বলি ১০ জেলায়
কোভিডের জেরে গত দুই বছর ধরে রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে তালা ঝুলেছে। স্কুলের মুখ দেখেনি ছাত্র-ছাত্রীরা। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের মতো পরীক্ষাও বাতিল হয়ে যায়। তবে কোভিড এই মুহূর্তে অনেকটাই কমে এসেছে। তাই এবার হতে চলেছে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক দুই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাই। তার ফলে স্বস্তিতে অভিভাবক এবং স্কুল পড়ুয়ারাও। প্রসঙ্গত, কোভিড ভ্যাকসিনেশনের উপর আটকে ছিল স্কুল। উল্লেখ্য, স্কুল খোলার দাবিতে ৪ টি মামলা হয়। স্কুলছুট পড়ুয়াদের ক্লাসে ফেরাতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলা দায়ের করেন একজন স্কুল শিক্ষক। ওই মামলাকারীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় জন্য বহু পড়ুয়ারই পড়াশোনা থেকে মন উঠে গিয়েছে। আর পড়াশোনা করছে না। এখানেই শেষ নয়, অনেকেই পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ছে । যার ফলে বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। অপরদিকে পর্যাপ্ত ডিজিটালাইজ পরিকাঠামো না থাকায় অনেক পড়ুয়াই অনলাইনে ক্লাস করতে পারছে না। নানা কারণের জেরেই স্কুলছুটদের সংখ্যা বাড়ছে। তবে সেই অভিশাপ পেরিয়ে এখন আলোর মুখে রাজ্য়ের প্রায় সব স্কুল।