রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর মতে, ভোটে বিপর্যয়ের দায়ও নেতাদের নেওয়া উচিত।
রাজ্যের চার পুরনিগমে (West Bengal Municipal Corporation Election 2022) একেবারে চারে চার তৃণমূল (TMC)। বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর ও আসানসোলে (Asansol Municipal Corporation Election 2022) জয়ী হয়েছে ঘাসফুল শিবির। ৪ পুরসভার ২২৬টা ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯৮ টাতেই জিতেছে তারা। আর সেখানে বিজেপি (BJP) মাত্র ১২টি আসনে জয়ী হয়েছে। এর জন্য রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumder)। তাঁর মতে, ভোটে বিপর্যয়ের দায়ও নেতাদের নেওয়া উচিত।
পুরনিগম ভিত্তিক ফলাফল
আরও পড়ুন- 'বামফ্রন্টের অতি আত্মবিশ্বাস ও অশোক ভট্টাচার্যের অহংকারই ডুবিয়েছে', বললেন কংগ্রেস নেতা
জয়প্রকাশের বক্তব্য
চারটি পুরনিগমের একটিতেও ভালো ফল করতে পারেনি বিজেপি। আর তারপরই এনিয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে কড়া ভাষায় নিশানা করেছেন সাময়িক বহিষ্কৃত নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, "এই বিপর্যয়ের দায় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নেওয়া উচিত। রাজভবন ও হাইকোর্ট দেখিয়ে পার পাওয়া যাবে না। কে পদত্যাগ করবেন অসহায় মজুমদার, ট্যুইট মালব্য নাকি ভার্চুয়াল চক্রবর্তী।" নাম না করে এভাবেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অমিত মালব্য ও সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে আক্রমণ করেছেন।
আরও পড়ুন - 'বিধানননগরে মেয়র মমতা' - চমকে দিলেন সব্যসাচী, স্ত্রী পেলেন দিদির ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপহার
সেই সঙ্গে দল পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন জয়প্রকাশ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে দলের দায়িত্ব দিতে শিলিগুড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল শঙ্কর ঘোষকে। অথচ শিলিগুড়ি পুরসভার ভোটে তিনি নিজের ওয়ার্ডে শুধু হারেননি। চতুর্থ স্থানে চলে গিয়েছেন।" তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। এরপর নাম না করে অর্জুন সিং-কেও আক্রমণ করেন। বলেন, "গত বিধানসভা এলাকায় নিজের এলাকায় ওই সাংসদ চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন। পুরভোটে তাঁকে বিধাননগরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি বিধাননগরে আসেননি। আসলে ওই সময় তিনি নিজের বাড়ির লোকজনকে তৃণমূলে পাঠিয়ে নিজের জন্য রাস্তা তৈরির কাজে ব্যস্ত ছিলেন।"
আরও পড়ুন- কলকাতার পর চার পুরভোটেও দ্বিতীয় স্থানে বামেরা, রাজ্যে বিরোধী মুখ বদলের ইঙ্গিত আরো তীব্র