চন্দননগর, আসানসোল নির্বাচনের ফল ২০২২: দুই কর্পোরেশনের ভোটের গণনা শুরু, তৃণমূল না বিজেপি কে এগিয়ে

১২ তারিখ ভোটের পর এবার ফলপ্রকাশের পালা। উদ্বেগ রয়েছে সব শিবিরেই।

Parna Sengupta | Published : Feb 13, 2022 5:39 PM IST / Updated: Feb 14 2022, 04:07 PM IST

চন্দননগর পুর কর্পোরেশন (Chandannagar Municipal Corporation) ও আসানসোল পুরনিগম (Asansol Municipal Election)। ১২ তারিখ (12th February) ভোটের পর এবার ফলপ্রকাশের পালা (WB Municipal corporation Elections 2022 results)। উদ্বেগ রয়েছে সব শিবিরেই। তবে পাল্লা ভারি কোনদিকে, তা বলবে ১৪ তারিখের ফল। 

আসানসোলে টসে ঠিক হবে ভোটের ফল, দুপুর ১ঃ২৭টা

আসানসোলের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটল বিরল ঘটনা। ভোট গণনার পর দেখা গেল বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট সমান সমান। এই ওয়ার্ডে জয়ী প্রার্থী নির্ধারিত হবে টস করে। ২টোর সময় হবে টস।

চন্দননগরে একটি বাদে সব তৃণমূলের, বেলা ১১ঃ৫১টা

1 নং ওয়ার্ড পাপিয়া সিংহ রায়, 2 নং ওয়ার্ড মোহিত নন্দী, 3 নং ওয়ার্ড গীতাঞ্জলি শেঠ, 4 নং ওয়ার্ড অনিমেষ ব্যানার্জি, 5 নং ওয়ার্ড মনিকা মন্ডল, 6 ,মৌমিতা ব্যানার্জি, 7 ,পার্থ দত্ত, 9 নং ওয়ার্ড স্নিগ্ধা রায়,  10 নং ওয়ার্ড অজয় ঘোষ, 11 নং ওয়ার্ড মোহাম্মদ সামাদ আলী, 12 নং ওয়ার্ড ঋতুপর্ণা সাউ মন্ডল, 13 নং ওয়ার্ড শুভজিত সাউ, 14 নং ওয়ার্ড রঞ্জিত কুন্ডু, 15 নং ওয়ার্ড মমতা দত্ত পাত্র, 16 নং ওয়ার্ড অভিজিৎ সেন(সিপিএম)18 নং ওয়ার্ড সবিতা দাস, 19 নং ওয়ার্ড  সুপ্রীতি দত্ত, 20 নং ওয়ার্ড পীযুষ বিশ্বাস, 27 নং ওয়ার্ড বিনয় কুমার সাউ, 29 নং ওয়ার্ড বিমল পাত্র ,32 নং ওয়ার্ড শুভ্রা দাস, 33 নং ওয়ার্ড সীমা দাস

চন্দননগরে ১২৪৮ ভোটে জয় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর, সকাল ১০ঃ৩১টা

চন্দননগরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অনিমেষ ব্যানার্জি ১২৪৮ ভোটে জয়লাভ করলেন।

চন্দননগরে ১৮ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল, সকাল ৯ঃ১৪

চন্দননগরে ১৮ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস, বাকি একটি নির্দলও  ১ টি বামেরা এগিয়ে রয়েছে। পুরভোটের ফলপ্রকাশের দিনে জোরকদম গণনা চলছে চন্দননগরের স্ট্রং রুমে।

আসানসোলে এগিয়ে জিতেন্দ্র পত্নী, সকাল ৮ঃ৫৪ টা

আসানসোলের ২৭ নং ওয়ার্ডে এগিয়ে জিতেন্দ্র পত্নী চৈতালি তিওয়ারি। উল্লেখ্য, আসানসোল -সহ চার পুরনিগমে ভোট হয়েছিল শনিবার ১২ ফেব্রুয়ারি। সোমবার স্বাভাবিকভাবেই শাসক দল এবং রাজ্যের বিরোধী দল নিয়ে চাপান উতোর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আসানসোলে স্ট্রংরুমে সিসিটিভি বন্ধ, সকাল ৮ঃ৩৪টা

আসানসোলে স্ট্রংরুমে সিসিটিভি বন্ধ। কমিশন ঠিকমতো কাজ করছে না বলে গুরুতর অভিযোগ তুলল বিজেপি। আসানসোলের পলিটেকনিক কলেজের স্ট্রংরুমে উত্তেজনা ছড়াল। রাজনৈতিক দলের নেতা-ক্রমীদের অভিযোগ, প্রায় ১ ঘন্টা সিসিটিভি বন্ধ ছিল স্ট্রংরূমে। অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। স্ট্রংরুমের দরজা খোলা রয়েছে বলে অভিযোগ।  

চন্দননগরে ৬ থেকে ১১ রাউন্ডে গণনা হবে, সকাল ৮ঃ২৩টা

চন্দননগরে ৬ থেকে ১১ রাউন্ডে গণনা হবে। কড়া নিরাপত্তায় রয়েছে সেখানের স্ট্রংরুমগুলি। উল্লেখ্য, চন্দননগর -সহ চার পুরনিগমে ভোট হয়েছিল শনিবার ১২ ফেব্রুয়ারি। রাজ্যের চার পুরনিগমে হওয়া পুরভোটে সবচেয়ে বেশি গন্ডোগোল হয়েছিল আসানসোল-বিধাননগরে। তবে চন্দননগরেও কিছু কম হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০০০ সালের গোড়ায় এই কেন্দ্রে তখন বামেদের আধিপত্য। সাল ২০০৫, চন্দননগরের পৌর কর্পোরেশনের নির্বাচনে সিপিআইএম ২০টি আসন পায়। বাকি ১৩ আসনের ১০টি তৃণমূলের এবং বাকি ৩ অন্যান্যদের দখলে যায়। তবে বামেদের সরকার ভাঙার শেষ সময়ে ২০১০ সালে চন্দননগরের পুরভোটের ৩৩ আসনে বিপুল ভোট পেয়ে ২৩টি অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুনেরও বেশি সংখ্যায় ২৩ আসনে দখল করে তৃণমূল। বামেরা সেবার ১টি এবং অন্যান্যরা পায় ২টি আসন। যদিও ২০১৫ সালে সংখ্যা একটু কমে আসে। তবু দড়ি তৃণমূলের হাতেই থাকে। ২০১৫ সালে চন্দননগরের পৌর কর্পোরেশনের নির্বাচনে ২১ আসন জয় করে তৃণমূল। তবে সিপিআইএম ৭ আসন, ফরোয়ার্ড ব্লক ১ আসন, কংগ্রেস ৩ আসন এবং বিজেপি ১ আসন পায়। তবে এবার কার পালে হাওয়া বইবে বেশি তা কেবল জানে চন্দননগরবাসী। 

আরও পড়ুন, 'শান্তিপূর্ণ ভোট করতে ব্যর্থ কমিশন', সোমবার ফল প্রকাশের দিনেই প্রতিবাদ মিছিলের ডাক বিজেপির

আরও পড়ুন-পুরভোটের আঁচে তপ্ত বাংলা, গোটা বাংলা জুড়েই রবিবাসরীয় প্রচারে বিশেষ জোর তৃণমূলের

অন্যদিকে, আসানসোল পুরসভায় হেভিওয়েট প্রার্থী বলতে রয়েছেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র বর্তমানে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারীর স্ত্রী চৈতালি তেওয়ারী। আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তিনি। আসানসোলের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী প্রাক্তন পুর প্রশাসক অমর নাথ চট্টোপাধ্যায়। আসানসোলের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক। আবার ১০২ ও ১০৬ নম্বরের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ আচার্য এবং ইন্দ্রানী আচার্য। 

প্রসঙ্গত, এনারা স্বামী-স্ত্রী গত বার দুজনেই তৃণমূলের হয়ে জিতলেও এবার বিজেপি প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন। উল্লেখ্য, প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তাবাসুম আরা নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে ১০৬ টি ওয়ার্ডেই জমজমাট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিগত বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে প্রায় ৬৬ টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। আসানসোল করপোরেশনের অন্তর্গত আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভায় বিধায়ক হয়েছেন বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল, কুলটির বিধায়ক হয়েছেন বিজেপির ডক্টর অজয় পোদ্দার এবং আসানসোল উত্তরের বিধায়ক রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। যদিও আসানসোল উত্তরের বেশির ভাগ ওয়ার্ডেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। তাই এবারের নির্বাচন উভয় পক্ষের ক্ষেত্রেই একটি চ্যালেঞ্জ।

Share this article
click me!