২০১৫-র পুরভোটে ৪৭ আসনের শিলিগুড়ি পুরসভার ২৩টি ওয়ার্ডে জেতে বামফ্রন্ট।অন্যদিকে, বিধাননগরে হাসবে কোন ফুল, তা নিয়ে অপেক্ষায় সাধারণ মানুষ।
১২ ফেব্রুয়ারি (12th February) শিলিগুড়ি পুরনিগম (Siliguri Municipal Election) ও বিধাননগর পুরসভার (Bidhannagar Municipal Election) নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। শিলিগুড়িতে ৪৭টি ওয়ার্ডে (47 Wards) জয় পেতে মরিয়া তৃণমূল (TMC), বিজেপি (BJP) ও বামেরা (Left Front)। ৪ লক্ষ ২ হাজার ৮৯৫ জন ভোটার এদিন প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে ৪৭ ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৬ টিতে এগিয়ে রয়েথে বিজেপি। তৃণমূল ১০ এবং বামেরা ১টি আসনে এগিয়ে ছিল। আর সেটাকেই হাতিয়ার করেই শিলিগুড়ি পুরসভা দখলে আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির।
বিধাননগরে পুরভোটে জয়ের পর মমতার সঙ্গে সাক্ষাত স্বস্ত্রিক সব্যসাচী দত্তের, দুপুর ২টা
বিধাননগরে পুরভোটে জয়ের পর মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাত স্বস্ত্রিক সব্যসাচী দত্তের। জয়ী প্রার্থীর স্ত্রীকে শাড়ি উপহার দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সব্যসাচি জানান, 'আমি আমার দিদির বাড়িতে এসেছি। মমতাদিকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলি। যেই মেয়রের আসনে বসুন না কেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় হবেন সিইও।'
শিলিগুড়িতে গৌতম দেবকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা মমতার, বেলা ১১ঃ১৫টা
শিলিগুড়িতে গৌতম দেবকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। উল্লেখ্য, আগে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সাংবাদিকরা, যে কে হবেন বিধাননগরের মেয়র, কৃষ্ণা নাকি সব্যসাচী দত্ত। তবে সেই প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন যে, এটা দল বিবেচনা করে ঠিক করবে। তবে পুরভোটের ফলপ্রকাশের দিন শিলিগুড়িতে গৌতম দেবকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
শিলিগুড়িতে পরাজিত অশোক ভট্টাচার্য, সকাল ১০ঃ৫৪টা
শিলিগুড়িতে পরাজিত অশোক ভট্টাচার্য। ৬ নং ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ৫১০ ভোটে হারলেন বাম নেতা। ভোট যুদ্ধে হারলেন নান্টু পালও। ১২ নং ওয়ার্ডে বিজেপির হয়ে প্রতিন্দন্দ্বিতায় হারলেন তিনি। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের জয়।
বিধাননগরে জয়ী সবসাচী দত্ত, সকাল ১০ঃ২৮টা
বিধাননগরে ( Bidhannagar Municipal Corporation Election 2022 Results )গণনা শুরু হতেই ধামাকা তৃণমূলের। সকাল থেকেই এগিয়ে ছিলেন সব্যসাচী, কৃষ্ণা, মনোরঞ্জনারা। তবে ইতিমধ্যেই ৪৬৪৪ ভোটে জয়ী হয়েছেন চলতি পুরভোটের সবচেয়ে হেভিওয়েট এবং বিতর্কিত প্রার্থী সবসাচী দত্ত ( TMC Candidate Sabyasachi Dutta)।
এগিয়ে সব্যসাচী, কৃষ্ণা, বিধানগরের একাধিক ওয়ার্ডে জয় তৃণমূলের, সকাল ১০ঃ২ টা
বিধান নগর পুরো নিগমের গণনায় এগিয়ে সব্যসাচী, কৃষ্ণা। ৩ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল প্রার্থী আরাত্রিকা ভট্টাচার্য ১০ হাজার ৩৪২ ভোটে জিতে গিয়েছে।বিধাননগরে ১৮০০র বেশী ভোটে জয়ী ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী কাকলী সাহা। বিধাননগর পৌরনিগমের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ৩০২৪ ভোটে জয়ী হল।
তৃণমূল প্রার্থী মনোরঞ্জন ঘোষ তিন রাউন্ড শেষে ৮০০ভোটে এগিয়ে, সকাল ৯ঃ৪৩টা
২১ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল প্রার্থী মনোরঞ্জন ঘোষ তিন রাউন্ড শেষে ৮০০ভোটে এগিয়ে। এবার পুরভোটের টিকিট পেয়ে মনোরঞ্জন ঘোষ বলেছিলেন, 'আমি ১৯৮৩ সাল থেকে এই এলাকায় রয়েছি। এবার এত বয়েসে টিকিট পাব , ভাবিনি। তাঁর লক্ষ্য নিকাশী ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট ঠিক করা সহ একটি পাম্প হাউজও তৈরি করতে চান মনোরঞ্জন ঘোষ।
শিলিগুড়ির তিনটি ওয়ার্ডে জয়ী তৃৃণমূল, সকাল ৯ঃ১৮টা
শিলিগুড়ির তিনটি ওয়ার্ডে জয়ী তৃৃণমূল। শলিগুড়ি পুরসভার ১৬ নং, ২০ নং এং ২৩ নং ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস।
বিধাননগরে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী সব্যসাচী, সকাল ৯ঃ৮টা
বিধাননগর পুরসভার ৩১ নং ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী সব্যসাচী। এদিন সকালে নির্দিষ্ট সময় মেনেই ভোট গণনা শুরু হয়েছে বিধাননগরে স্ট্রং রুমে। যদিও আগেই ভবিষ্যতবাণী করে বসে রয়েছে ঘাসফুল শিবির। সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তারাই এগিয়ে থাকবে বলে দাবি জানিয়েছেন।
বিধান নগর পৌর নিগমের ভোটের গণনায় প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্ট, সকাল ৮ঃ২৪টা
আজ বিধান নগর পৌর নিগমের ভোটের গণনা। সেই মতই এদিন সকাল সকাল নির্দিষ্ট সময় মেনেই প্রার্থী ও কাউন্টিং এজেন্টরা ঢুকে পড়েছে। ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের শাহ নওয়াজ আলী মন্ডল ,৩৭ এর মিনুদাস চক্রবর্তী সবাই জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
তবে ২০১৫-র পুরভোটে ৪৭ আসনের শিলিগুড়ি পুরসভার ২৩টি ওয়ার্ডে জেতে বামফ্রন্ট। তৃণমূল ১৭, কংগ্রেস ৪, বিজেপি ২ ও নির্দল জেতে একটি ওয়ার্ডে। নির্দলের সমর্থনে বোর্ড গড়ে বামেরা। কিন্তু, বোর্ড গড়ার এক বছরের মধ্যেই মৃত্যু হয় নির্দল কাউন্সিলরের। এরপর বাম পরিচালিত পুরবোর্ডের পাশে থেকেছে কংগ্রেস।
অন্যদিকে, বিধাননগরে হাসবে কোন ফুল, তা নিয়ে অপেক্ষায় সাধারণ মানুষ। ২০১৫ সালে নতুন করে তৈরি হয় বিধাননগর পুরসভা। সে বছর অক্টোবারে তৃণমূলের হয়ে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হন সব্যসাচী দত্ত। জয়ের হাসি হাসেন তিনি। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর ঘাসফুলের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি হয় তাঁর। মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তারপর বিধাননগর পুরনিগমের দায়িত্ব সামলেছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। এই মুহূর্তে বিধাননগর পুরসভার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। এদিকে তখন রাজনৈতিক মহলে শিবির বদলানোর জল্পনা চলছিল।
আর সেই জল্পনাকে সিলমোহর দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন সব্যসাচী দত্ত। অমিত শাহ-র হাত ধরে বিধানসভা ভোটের টিকিট পান তিনি। কিন্তু শেষ অবধি সুজিত বসুর সঙ্গে ভোটে হেরে যান তিনি। এরপর তিনি ফের পুরোনো দলে ফিরে আসেন একুশে সালেই। বিধাননগর পুরভোটে তিনি এবার তৃণমূলের হয়ে ফের লড়াই করবেন। ৩১ নং ওয়ার্ড থেকে প্রার্থি করা হয়েছে। এদিকে সেই কৃষ্ণা চক্রবর্তীর উপরেও ভরসা রেখেছে দল। এবার ২৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণূলের হয়ে প্রার্থী পদে দাঁড়িয়েছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
বিধাননগর পুরনিগমের দায়িত্বে মেয়র পদে রয়েছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।বিধাননগর পুরসভার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। এখানে শেষ হওয়া নির্বাচনে মোট ৪১ আসনের মধ্যে সংখ্য়া গরিষ্ঠ সিটই তৃণমূলের। মোট সিটের ৩৭ টি তৃণমূল দখল করেছে। বাকি ৪ টি নিয়েছে বিরোধীরা। এই ৪ টির মধ্য়ে ২ টি বাম এবং ২ কংগ্রেসের। উল্লেখ্য় ডিসেম্বরেই বাইশের বিধাননগর পুরভোটের জন্য মোট ৪১ টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।