'সাহস থাকলে কামারহাটি দিয়ে যাতায়াত করে দেখান', সৌগত রায়কে নাম না করে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন মদন মিত্র। উল্লেখ্য, পুরভোটের প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে, আর সেই তালিকায় রয়েছে কামারহাটিও।
সৌগত রায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন মদন মিত্র। কামারহাটি রথতলায় প্রার্থী অসন্তোষ নিয়ে কর্মীসভা। মদন মিত্রের কর্মীসভা থেকে নাম না করে সাংসদ সৌগত রায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কামারহাটির বিধায়ক। উল্লেখ্য, পুরভোটের (Wb Municipal Elections 2022) প্রার্থী ঘোষণার (TMC Candidate List) পর থেকেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। টায়ার জ্বালানো থেকে শুরু করে রাস্তা অবরোধও চলে। আর সেই তালিকায় বাদ যায়নি কামারহাটিও (Kamarhati) ।
মূলত, পৌরসভার প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি কামারহাটি পৌরসভা এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা যায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। কর্মীদের বিক্ষোভ অসন্তোষের জন্য কামারহাটি রথতলা মোড়ে কর্মীসভা আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। এই কর্মীসভায় এসে কামারহাটি বিধায়ক মদন মিত্র প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য নাম না করে সাংসদ সৌগত রায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন। মদন মিত্র বলেন ,' যে নেতা কাজুবাদাম,বটিকাবাব, বিরিয়ানি খেয়ে প্রার্থীর নাম দিয়েছেন, সেই নেতার যদি সাহস থাকে, তাহলে কামারহাটি কাছে বিটি রোড দিয়ে যাতায়াত করে দেখান কামারহাটির মানুষ তাঁকে বুঝে নেবে।' পাশাপাশি 'কোটি কোটি টাকা তোলা তুলে যাদের নাম প্রার্থীর তালিকায় দিয়েছেন, সেই নেতাই এরকম করে শান্ত কামারহাটিকে অশান্ত করছেন। অধ্যাপকের নাম না করে এরকম ধরনের আক্রমণে কামারহাটি এলাকাজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে যথেষ্ট উত্তেজনা', বলে উল্লেখ করেন মদন মিত্র। কামারহাটি পৌরসভার প্রশাসক গোপাল সাহাকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি মদন মিত্র। তিনি বলেছেন,'কামারহাটি পৌরসভার প্রশাসকের ঘর প্রোমোটার চক্রের বৈঠকখানা করে তুলেছেন'।
উল্লেখ্য, ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮ পুরসভার নির্বাচন। আর এবার একাঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে চমকে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর সেই দিন সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় বিক্ষোভ। এদিকে প্রার্থী তালিকার ইস্যুতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'নতুনদের সুযোগ দেওয়া এবারের পুরসভা নির্বাচনে। নবীন-প্রবীণদের সমণ্বয়ে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কোনও বিধায়ক প্রার্থী নেই তালিকায়। একই পরিবারের একাধিক ব্যাক্তিকে সুযোগ দেওয়া হয়নি।' দলীয় কোন্দল যাতে কোনওভাবেই না হয়, সেজন্যই পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়ে জানিয়েছেন,' যারা এবার টিকিট পেলেন না, তাঁরা সকলেই দলে রয়েছেন। দলের জন্য কাজ করবেন। পরবর্তীতে আবার কাজের জন্য সুযোগ আসবে', বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থীপদের টিকিট পেয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম-সহ একাধিক বিধায়ক। মূলত কলকাতা পুরভোটে পরিবারতন্ত্র প্রকট হয়ে ওঠে। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ভ্রাতৃবধূকে টিকিট দেওয়া হয়। তৃণমূলের প্রার্থী পদের সুযোগ পান শশী পাঁজার মেয়ে, শান্তনু সেনের স্ত্রী, তারক সিংয়ের ছেলে ও মেয়ের মতো অনেকেই। বিরোধীরা পরিবারতন্ত্র নিয়ে কটা করতে ছাড়েনি তৃণমূলকে। সেই কারণেই সম্ভবত এবার সতর্ক দল। পরিবারের একাধিক সদস্যকে টিকিট দিচ্ছে না তৃণমূল।