হাওড়া যাওয়ার পথে গ্রেফতার সুকান্ত, পুলিশ অগণতান্ত্রিক, অভিযোগ বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির

সকাল থেকেই সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে বিজেপি সমর্থক বনাম পুলিশের টাগ অফ ওয়ার চলছিল-ই। শনিবার হিংসা বিধ্বস্ত হাওড়ার গ্রামীণে যেতে চেয়েছিলেন সুকান্ত। কিন্তু তাঁর সেই যাত্রার আগেই পুলিশ এসে নিউটাউনের বাড়িতে গৃহবন্দি করে। এরপর সেই বাধা কেটে বের হলেও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সামনে আটকে যেতে হয়।

Web Desk - ANB | Published : Jun 11, 2022 10:03 AM IST / Updated: Jun 11 2022, 03:58 PM IST

পুলিশি অবরোধকে ঠেলেই দ্বিতীয় হুগলি সেঁতুর টোল প্লাজা পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিল অগুণিত বিজেপি সমর্থক এবং কর্মী। তাঁরাই রাস্তার মাঝে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে সুকান্ত-র জন্য রাস্তা পরিষ্কার করে দিচ্ছেলেন। কিন্তু, কখনও হেঁটে এবং আবার কখনও গাড়িতে চেপে দ্বিতীয় হুগলি সেঁতুর টোল প্লাজায় যখন সুকান্ত মজুমদার তাঁর দলবল নিয়ে পৌঁছান তখন আগে থেকে সেখানে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন কলকাতার ডিসি সাউথ এবং হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি হেডকোয়ার্টারের হেড। সেখানে পুলিশের সঙ্গে খানিক বাদানুবাদের পর সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে এজেসি বোস রোড ফ্লাইওভার দিয়ে নামা সুকান্ত মজুমদারের কনভয় আটকে দিয়েছিল পুলিশ। ফলে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেছিলেন সুকান্ত। সেখানেও পুলিশ তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সুকান্ত মজুমদারের একটাই বক্তব্য ছিল যে অর্ডার দেখাতে হবে যে তাঁকে যেতে দেওয়া হবে না। পাল্টা পুলিশও জানায় যে সুকান্তকেই মুচলেকা দিতে হবে যে তিনি হাওড়ার ১৪৪ ধারা লাগু থাকা এলাকায় যাবেন না। যদিও, সুকান্ত মজুমদার পুলিশের এই বাধাকে পাত্তা না দিয়েই এগোতে থাকেন। পিটিএস-এর সামনে থেকে ফের অন্য একটি গাড়িতে উঠে দ্বিতীয় হুগলি সেঁতুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন সুকান্ত।

আরও পড়ুন, হাওড়া যাওয়ার আগে গৃহবন্দি সুকান্ত মজুমদার, পুলিশের সঙ্গে চরম বাদানুবাদের ভিডিও ভাইরাল

দ্বিতীয় হুগলি সেঁতুর টোল প্লাজার খানিকটা আগে পুলিশের বিশাল বাহিনী সুকান্ত মজুমদারদের পথ আটকায়। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সাফ বলেন যদি পুলিশ মনে করে যে তিনি আইন ভাঙছেন তাহলে গ্রেফতার কেন করা হচ্ছে না। তাঁকে গ্রেফতার না করা হলে তিনি হাওড়াতে প্রবেশ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন। এরপরই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যায়। 

আরও পড়ুন, 'পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ ? বরদাস্ত করব না ', হাওড়া ইস্যুতে বিস্ফোরক মমতা

শনিবার সকালেই নিউটাউনে সুকান্ত মজুমদারের অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছেছিলো বিধাননগর থানার পুলিশ। সুকান্ত মজুমদার বাইরে আসতেই তাঁকে পুলিশ বাহিনী এবং তার কর্তারা ঘিরে ধরে। কিন্তু, সুকান্ত মজুমদার অনড় থাকায় পুলিশ শেষমেশ পিছু হঠে, এর মধ্যে অসংখ্য বিজেপি কর্মী ও সমর্থক সুকান্ত ফ্ল্যাটের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। এরাই সুকান্তকে পুলিশের কব্জা থেকে বের করে হাওড়ার উদ্দেশে রওনা করে দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন, অপেক্ষা শেষ, আগামী সপ্তাহেই বর্ষা আসছে দক্ষিণবঙ্গে, সুখবর দিল হাওয়া অফিস

 এদিন দুপুর ১২ টা ৫১ মিনিটে সুকান্ত মজুমদার প্রথমে টুটারে জানান,'মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমাকে হাউজ অ্যারেস্ট করেছে বাংলার পুলিশ'।  মূলত  হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির নুপুর শর্মার বির্তকিত মন্তব্যের জেরে উত্তাল উত্তরপ্রদেশ-সহ সারা দেশ। এবার সেই তালিকায় ঢুকে পড়ে পশ্চিমবঙ্গ। ক্ষোভের আগুন জ্বলছে হাওড়ায়। উলুবেরিয়ায় ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। এদিকে গতকাল আচমকাই দলীয় কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'রাজ্যকে জেএমবি আলকায়দার হাতে তুলে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী'। তবে আদতে ১৪৪ ধারা জারি করা স্পর্শকাতর হাওড়ায় নিয়ম ভাঙার কারণে, নাকি উসকানিমূলক মন্তব্যের জেরে ক্ষোভের কারণে, ঠিক কী কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এনিয়ে জল ঘোলা শুরু রাজনৈতিক মহলে। তবে বাংলার পুলিশকে 'অগণতান্ত্রিক' বলেই ব্যাখ্যা করেছেন সুকান্ত মজুমদার।

Read more Articles on
Share this article
click me!