সংক্ষিপ্ত
'মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমাকে হাউজ অ্যারেস্ট করেছে বাংলার পুলিশ', টুইট করে জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
'মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমাকে হাউজ অ্যারেস্ট করেছে বাংলার পুলিশ', টুইট করে জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মূলত হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির নুপুর শর্মার বির্তকিত মন্তব্যের জেরে উত্তাল উত্তরপ্রদেশ-সহ সারা দেশ। এবার সেই তালিকায় বাংলাও। ইতিমধ্যেই ক্ষোভের আগুন জ্বলছে হাওড়া। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। স্পর্শকাতর পরিস্থিতি গতকাল আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'রাজ্যকে জেএমবি আলকায়দার হাতে তুলে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী'। আর তার ২৪ ঘন্টা পেরোনোর আগেই একটু আগেই টুইটে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ ? বরদাস্ত করব না '। এদিকে শনিবার দুপুর ১২ টা ৮ মিনিট নাগাদ টুইটারে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। আর তার ১ ঘন্টা পেরোনোর আগেই এদিন দুপুর ১২ টা ৫১ মিনিটে বিস্ফোরক বার্তা দিয়ে একটি ভিডিও টুইটারে শেয়ার করেছেন সুকান্ত মজুমদার।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার টুইট করে জানিয়েছেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমাকে হাউজ অ্যারেস্ট করেছে বাংলার পুলিশ। দিদি, বাংলার লোকেদের সম্পত্তি ধ্বংস করা, এবং রাজ্যে সান্তি বিঘ্নিত করার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তবে সেটা বিজেপি নেতাদের গৃহবন্দি করে নয়।' এদিন সুকান্ত মজুমদারকে বাড়িতে আটকে দিয়েছে পুলিশ। নিউটাউনের বাড়ি থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার সময় আটকে দেয় ইকোপার্ক থানার পুলিশ। সুকান্ত মজুমদার কে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় বাড়িতে থেকে বেরোলে মুচলেকা দিয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে হবে। বিধাননগর পুলিশের উচ্চ পদস্থ অধিকারিকদের সাথে বচসা শুরু হয় সুকান্ত মজুমদারের। এখনো পর্যন্ত আটকে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় 'হাউস অ্যারেস্ট' করা হয়েছে বলে দাবি সুকান্ত মজুমদারের।
আরও পড়ুন, 'পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ ? বরদাস্ত করব না ', হাওড়া ইস্যুতে বিস্ফোরক মমতা
এদিকে, গতকাল দলীয় কর্মসূচিতে উত্তর ২৪ পরগণায় বনগাঁয় গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবং সেখানে গিয়ে হাওড়া ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। মূলত, ইসলাম ধর্ম ও হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি নেত্রীর নুপুর শর্মার বিতর্কিত একটি মন্তব্যেই উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয় উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে স্থানীয় সংখ্যালঘুদের সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে এই মুহূর্তে নুপুরে বিতর্কিত মন্তব্যে জেরে উত্তাল বাংলা-সহ সারা দেশ। এদিকে এরই মধ্য়ে নূপুর শর্মাকে বিজেপি সাময়িক বরখাস্ত করলেও বিতর্ক থামেনি। ইসলাম ও হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর, দেখতে দেখতে অনেকগুলি দিন পার হলেও বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মাকে নিয়ে বিতর্ক লাগামছাড়াভাবে বাড়ছে।
আরও পড়ুন, জাতীয় সড়ক দখল করেছে দাঙ্গাবাজরা, অবিলম্বে সেনা নামান, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দু অধিকারির
আরও পড়ুন, ১৪৪ ধারা জারি উলুবেরিয়ায়, বিতর্কের আগুনে হাওড়া থেকে গ্রেফতার ৭০
ক্ষোভের আগুন নিভে যাওয়া তো দূরের কথা, তার বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য, ইরাক, লিবিয়া, মালওয়েশিয়া , তুরস্ক-সহ এক ডজনেরও বেশি মুসলিম রাষ্ট্র এই সমালোচনায় যোগ দিয়েছে। তবে সবচেয়ে বিস্ফোরক বাক্যটি বলেছে আলকায়দাই। আলকায়দা জানিয়েছে, 'নবীর সম্মানের জন্য লড়াই করতে,দিল্লি, মুম্বাই, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটে তাঁরা আত্মীঘাতী হামলা চালাবে।' আর এরপরেই গতকালের দলীয়ে কর্মসূচিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্যকে জেএমবি , আলকায়দার হাতে তুলে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।তিনি আরও বলেন, 'ধর্মীয় কিছু উন্মাদ রাস্তায় নেমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। পুলিশ প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার হাতে হাত দিয়ে বসে আছে। এমন সরকার পশ্চিমবঙ্গ আগে কখনও দেখেনি। ২০০ এর উপরে যাদের আসন, সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী , ধর্মীয় উন্মাদকে হাতজোড় করে বলছেন, আপনারা এরকম করবেন না।'