ঘূর্ণীঝড়ের শক্তি কমতেই সুখের দিন শেষ। শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে দক্ষিণবঙ্গে। আবার আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। দিনের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি বাড়তে পারে। তবে প্রবল বর্ষণ চলবে উত্তরবঙ্গে।
ঘূর্ণীঝড়ের শক্তি কমতেই সুখের দিন শেষ। শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে দক্ষিণবঙ্গে। আবার আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। দিনের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি বাড়তে পারে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, গতকাল সকালেই অতি গভীর নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে। আগামী ৫ দিন সব জায়গাতেই হালকা-মাঝারি বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
ওয়া অফিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালেই অতি গভীর নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। পরবর্তীকালে শক্তি হারিয়ে তা আরও সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে অবস্থান করছে অশনি। আলিপুর আবহাওয়া জানিয়েছে, এই সিস্টেমের জন্য, রাজ্যে কোনও সতর্কতা নেই। তবে সমুদ্রের উপর হাওয়ার গতিবেগ বেশি থাকবে। তাই ১২ থেকে ১৫ মে মৎসজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী ৫ দিন সব জায়গাতেই হালকা-মাঝারি বৃষ্টি চলবে। বিকেল পেরেতোই বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরবঙ্গের ৫ টি জেলায় ভারী বর্ষণের সম্ভাবনার কথা বলেছে হাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গের ৫ টি জেলা দার্জিলিং, কালিংপঙ, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনার কথা বলেছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গে কিছুক্ষণের জন্যে বৃষ্টি হবে। তারপর আবার বন্ধ হয়ে যাবে। শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। আবার আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। দিনের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি বাড়তে পারে।
আবহবিদরা জানাচ্ছেন, কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবেই অন্দ্রপ্রদেশের কাঁকিনাড়া উপকূলে ছুঁয়ে যায় অশনি। পূর্বাভাস মিলিয়েই অন্ধ্র উপকূলে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সোমবার থেকেই ওড়িশা ও অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজও বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে এখন গতি পরিবর্তন করতে শুরু করেছে নিম্নচাপটি। তবে উপকূলবর্তী এলাকায় বইছে ঝোড়ো হাওয়া। সেই সঙ্গে হচ্ছে প্রবল বর্ষণ ওই এলাকায়।
আরও পড়ুন, '২৩ থেকে ৪৬, বাংলায় বাড়তে পারে জেলার সংখ্যা', বড়সড় ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, অশনির জেরে কয়েকদিন আগে থেকেই রাজ্যের দীঘা-মন্দারমনি সমুদ্রের তট ঘিরে রাখা হয়। স্নানতো দূর হস্ত, পাড়েও পারলে আসছেন না, পর্যটকরা নিজেই। সতর্কবার্তা কাজ করার পাশাপাশি অনেকের মনেই অহেতুক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চিন্তা করতে বারণ করছে রাজ্য , কারণ এবার গতবারের থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেক বেশিই সতর্ক রাজ্য সরকার। আইএমডি-র ডিজি বলেছেন, 'সাধারণত দুটি সময়ে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। একটা প্রাক বর্ষার সময়। অর্থাৎ মার্চ এপ্রিল মে। আরেকটা বর্ষার পর অর্থাৎ অক্টোবার, নভেম্বর এবং ডিসেম্বর। বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় হয় মে মাসে এবং নভেম্বরের মধ্য়ে। মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমরা গোটা পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত নজর রাখছি।' তবে এবার প্রশ্ন হচ্ছে, বৃষ্টি শেষে কি ফের দাবদাহ শুরু হবে বাংলায়।
আরও পড়ুন, অভিষেককে কেন কলকাতায় জেরা নয় ? ইডি-কে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের