বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ বছর ষোলোর কিশোরীকে। যার ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে কিশোরী। এ কথা সামনে আসতেই থানায় অভিযোগ জানায় নাবালিকার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। এরা সকলেরই ষাটোর্ধ্ব।
ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারে। কোচবিহারে পুলিশ সুপার (মাথাভাঙা) সন্দীর গড়াই বলেন, ১৬ মার্চ একটি অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোহ উঠেছে তিন বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। পুলিশ বলেছে অভিযুক্তদের গ্রেফতকার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, কিশোরীর বাবা মা দুজনেই দিনমজুর। মেয়েকে রেখে প্রায়শই তারা কাজে যেত। দাদাও কাজের সূত্রে ভিনরাজ্য থাকে। অভিযোগ, বাড়ি ফাঁকার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় এক কাঠ ব্যবসায়ী ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছিলেন। এই বিষয়টি এলাকার আরও দুজন জানতে পারে। এরপর থেকে ওই তিনজন বিভিন্ন সময় মেয়েটিকে ধর্ষণ করত বলে খবর। মুখ খুললে বাবা মা ও দাদাকে খুনও করার হুমকি দেওয়া হত মেয়েটিকে। যার জেরে দীর্ঘদিন মুখ বন্ধ রেখেছিল মেয়েটি। চার মাস অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ে সে। বিষয়টি সামনে আসতে সব জানাজানি হয়। নাবালিকার পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ করে।
নাবালিকার বাবা বলেন, ভাবতে পারছি না যে বাপ জ্যাঠার বয়সের মানুষেরা এমনভাবে আমার মেয়ের জীবন নিয়ে খেলবে। নাবালিকার মা বলেন, আমার মেয়ে একটু সাদাসিধে। তার সেই সারল্যের সুযোগ নিয়ে ওই তিনজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ধর্ষণ করার পর মেয়েকে বলত, কাউকে জানালে আমাদের সকলকে মেকে ফেলবে। মেয়েটা সেই ভয়ে কাউকে বলেনি। আমার মেয়েটার ওপর দিনের পর দিন নির্যাতন চালিয়েছে। আমি ওই তিনজনের ফাঁসি চাই।
এই ঘটনায় মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বাড়িতে কেই না থাকার সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই জঘন্য অপরাধ করেন তিন ব্যক্তি। সকলেই ষাটোর্ধ্ব। অন্তঃসত্ত্বার হয়ে পড়ে মেয়েটি। এমনকী কাউকে জানালে পরিবারের সকলকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।