নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ নিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে হাড়োয়া থানার পুলিশ। নির্যাতিতা নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়েছে ।
এমন ঘটনা শুনলে বিশ্বাস করা কঠিন। কিন্তু মানুষই হয়ত পারে এমন অমানবিক কাজ করতে। রাতভর নিজের ছয় বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করল বাবা। মা বাড়ি না থাকার সুযোগ নিয়ে এই পাশবিক আচরণ করে ওই ব্যক্তি বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া থানা এলাকায়। ওই নাবালিকাকে সারা রাত ধরে শারীরিক নির্যাতন করে ওই ব্যক্তি। অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে হাড়োয়া থানা।
নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ নিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে হাড়োয়া থানার পুলিশ। নির্যাতিতা নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়েছে । অন্যদিকে, এই ঘটনায় ধৃত চল্লিশ বছরের ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে নিতে শনিবার দুপুরে তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করে হাড়োয়া থানার পুলিশ।
বাবা হয়ে কীভাবে ওই ব্যক্তি এই জঘন্য কাজ করলেন, তা ভাবতেই পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন শিশুকন্যাটির মা। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন বাসিন্দারা । অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন তারা।
এদিকে, ঘটনার পরেই হাড়োয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। তাঁর অভিযোগ পেয়ে শিশুকন্যার বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। আর সেই সুযোগে তাঁর মেয়েকে রাতভর ধর্ষণ করেন তাঁর স্বামী। বাড়ি ফিরতেই মেয়ের মুখে সবটা শোনেন তিনি ।
পুলিশ সূত্রের খবর নানা কারণে নাবালিকার বাবা ও মায়ের মধ্যে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত । পারিবারিক অশান্তির জেরে মাঝেমধ্যেই স্ত্রী তাঁর স্বামীকে ছেড়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতেন । আবার কিছুদিন পর চলেও আসতেন স্বামীর বাড়িতে। শুক্রবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফের অশান্তি শুরু হয়। স্ত্রীকে ওই ব্যক্তি মারধরও করেন বলে অভিযোগ । মারধরের জেরে রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ওই মহিলা । সেই সুযোগে ছয় বছরের নাবালিকা শিশুকন্যাকে রাতভর ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। শনিবার ভোরে বাড়িতে ফিরে মেয়ের ওপর পাশবিক অত্যাচারের ঘটনা শুনে হতবাক হয়ে যান ওই মহিলা।