
লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি বছর আগে মানুষের অস্ত্বিত্ত্ব ছিল না। সেই প্রায় গোটা পৃথিবী জু়ড়ে দাপিয়ে বেড়াতে বিশালাকার প্রাণী। ডাইনোসোর। যা নিয়ে আজও মানুষের মনে যথেষ্ট কৌতুহল রয়েছে। এখনও ডাইনোসোরকে কেন্দ্র করে যে কোনও সিনেমা তৈরি হলে বা বই লেখা হল তা মানুষের মনে আলাদা জায়গা তৈরি করে নেয়। কিন্তু এই ডাইনোসের ডিম এবার সরাসরি দেখার ব্যবস্থা করল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। যা নিয়ে উৎসহ তৈরি হয়েছে। শুধু ডিম নয়, আরও অনেক কিছু প্রদর্শিত হচ্ছে।
জলপাইগুড়িতে ৬ কোটি বছরের পুরনো ডাইনোসরের ডিম! হাড় হিম করা তথ্য দেখে বিস্ময়ে সাধারণ মানুষ। ছ’কোটি বছরের পুরনো ডাইনোসরের ডিম চোখের সামনে! শুনলেই গা শিউরে ওঠে। কিন্তু এ কোনও গল্প নয়, বাস্তব। জলপাইগুড়ি শহরের নয়াবস্তির নাটা হাউসের পাশে সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবে প্রদর্শিত হচ্ছে সেই বিরল ডিম, সঙ্গে রয়েছে ডাইনোসরের হাড়, জীবাশ্ম ও নানা খনিজ দ্রব্য।
দেশের খ্যাতনামা ভূ-বিজ্ঞানীদের হাত ধরে এই অমূল্য সংগ্রহ এসে পৌঁছেছে জলপাইগুড়িতে। প্রদর্শনীর মূল আকর্ষণ নিঃসন্দেহে ডাইনোসরের ডিম, যা এক নজরে সাধারণ মানুষকেই ফিরিয়ে নিয়ে যায় কোটি কোটি বছর আগেকার পৃথিবীতে। তাহলে কীভাবে এল এই দুর্লভ সম্পদ।
ক্লাবের সম্পাদক ড. রাজা রাউত বলেন, “ভূ-বিজ্ঞানীদের সহযোগিতা না পেলে এমন বিরল সংগ্রহ সামনে আনা সম্ভব হত না। আমাদের উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের কাছে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ এবং সচেতনতা তৈরি করা।” বিজ্ঞানীদের মতে, ডাইনোসর ছিল এক বিশাল মেরুদণ্ডী প্রাণী, যারা প্রায় ১৬ কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে আধিপত্য বিস্তার করেছে।