
Krishnagar News: সদ্য বিয়ে হয়েছে। ভূস্বর্গে গিয়েছিলেন হানিমুন করতে। কিন্ত সেখানে গিয়ে এমন অভিজ্ঞতার শিকার হতে হবে তা হয়ত দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি নদীয়ার কৃষ্ণনগরের বৌবাজারের দাস দম্পতি। তবে কথায় বলে না- 'রাখে হরি মারে কে, মারে হরি রাখে কে?'...
বাংলার এই প্রবাদ বাক্যটাই যেন হঠাৎ করে সত্যি হয়ে গেল তাঁদের জীবনে। কারণ, কাশ্মীরেরে পহেলগামে জঙ্গি হামলায় বাংলার তিন বাসিন্দার মৃত্যু হলেও বরাতজোরে রক্ষা পেয়েছেন সুদীপ্ত দাস ও তাঁর স্ত্রী দেবশ্রুতি দাস। ঘটনার সময় পহেলগাঁও থেকে অদূরে একটি শিব মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন তারা। তাতেই রক্ষা পেল দাস দম্পতির প্রাণ।
নদীয়ার কৃষ্ণনগর বউবাজারের ওই দম্পতি অন্যান্য পর্যটকদের মতই তাঁরাও পহেলগাঁও গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনার সময়ে অদূরে একটি শিব মন্দিরে ঠাকুর দর্শন করতে গিয়েছিলেন তারা। আর সেই সময়ই ঘটে ভয়ঙ্কর হামলার ঘটনা। প্রাণে নিজেরা বাঁচলেও একসঙ্গে এতজন পর্যটকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে বাকরুদ্ধ তাঁরা। এখনও চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট তাঁদের।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন নদীয়ার দম্পতি। তবে আতঙ্ক এখনও কাটেনি। এদিন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ওই দম্পতি জানান, তারা পহেলগাঁওয়ের পাশেই ছিলেন মিনি সুইজারল্যান্ড নামক একটি জায়গাতে। তবে ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে একটি শিব মন্দিরে গিয়ে তারা মন্দির দর্শন করছিলেন। সেই সময় খবর পান, জঙ্গিহানা হয়েছে। তাতেই প্রাণ গিয়েছে বহু পর্যটকের। এরপর কোনও রকমে কাশ্মীরি বাসিন্দাদের সাহায্যে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন শ্রীনগরে। বর্তমানে একটি হোম-স্টেতে রয়েছেন তাঁরা। তবে যাদের সঙ্গে এতদিন ঘোরাফেরা করলেন সেই সমস্ত পর্যটকদের মৃত্যুর খবর শুনে রীতিমতো আতঙ্কিত দাস দম্পতি। এখন শুধুই বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তারা।
অন্যদিকে, হামলার সময় পাকিস্তানি ভাষা শোনা গিয়েছিল জঙ্গিদের মুখে। সম্প্রতি এমনই দাবি করেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিরা। জানা গিয়েছে, এরা সকলেই লস্কর ই তৈবার সঙ্গে যুক্ত। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এই হামলাকে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। হামলাটি পহেলগাঁও থেকে প্রায় ৭ কিনি দূরে বৈসরন ময়দানে ঘটে। যা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শান্ত পরিবেশের জন্য জনপ্রিয়। সেখানে সেনার পোশাক পরে জঙ্গিরা আসে। উপস্থিত ব্যক্তিদের নাম বলতে এবং ইসলামিক আয়াত পাঠ করতে বলে। তারপর বেছে বেছে হিন্দুদের হত্যা করে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।