রাজ্যে ফের একবার হিংসার ঘটনা। প্রতিবেশী তরুণীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন এক যুবক। কিন্তু সেই ডাকে সাড়া দেননি ঐ তরুণী। তাই ধারালো অস্ত্রের কোপ।
রাজ্যে ফের একবার হিংসার ঘটনা। প্রতিবেশী তরুণীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন এক যুবক। কিন্তু সেই ডাকে সাড়া দেননি ঐ তরুণী। তাই ধারালো অস্ত্রের কোপ।
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি অন্য একজনের সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করে ফেলেন সেই তরুণী। আর এতেই অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন ঐ যুবক। এই খবর পেয়েই তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে সেই তরুণীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঐ যুবকের বিরুদ্ধে।
এমনকি, মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন সেই তরুণীর বাবাও। একেবারে রক্তারক্তি কাণ্ড। আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন সেই তরুণী। তা দেখে নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি ঐ যুবক। নিজের পেটেও ঐ অস্ত্র চালিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। বর্তমানে তিনজনকেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, জখম সেই তরুণীর নাম হল নাজমা খাতুন। তাঁর বয়স ২৫ বছর। নাজমার বাবার নাম মিরাজ আলি চৌধুরী। সোমবার, এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ফিরোজের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নাজমার পরিবার।
একেবারে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। মঙ্গলকোটের গোহগ্রামের বাসিন্দা মিরাজ এবং হাসনা বিবির মেয়ে হলেন নাজমা। যাকে দীর্ঘদিন ধরেই উত্ত্যক্ত করতেন তাদের প্রতিবেশী যুবক ফিরোজ।
নাজমার মা জানান, “বারবার মেয়েকে ও বিয়ের প্রস্তাব দিত। আমাদের মেয়ে যখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত, তখন ওকে পড়াত ফিরোজ। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত গৃহশিক্ষক হিসেবে নাজমাকে পড়িয়েছে ফিরোজ। তখন থেকেই আমাদের মেয়েকে বিয়ে করতে চাইত ছেলেটি। আমরা সেই প্রস্তাবে সাড়া দিইনি বলেই আমাদের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়েছে ফিরোজ।”
এদিকে আবার গত মার্চ মাসে, ভাতার থানা এলাকার বাসিন্দা সম্রাট মোল্লার সঙ্গে নাজমার বিয়ের পাকা কথা হয়। এরপর রেজিস্ট্রিও সেরে ফেলেন তারা দুজন। আর সেই খবর পেয়েই নাকি ফিরোজের রাগ আরও বেড়ে যায়। জানা যাচ্ছে, প্রাক্তন ছাত্রীকে রীতিমতো হুমকিও দিচ্ছিলেন সেই গৃহশিক্ষক।
অন্যদিকে, এই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।