বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগ নতুন নয়। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তাতে বহু মানুষ নতুন করে কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
সপরিবারে বরিশালে থাকেন নিক্সন হালদার। জন্ম, পড়াশোনা, কর্ম সবই বরিশালে। ব্যবসার জন্য বরিশালের পাশাপাশি ঢাকাতেও থাকতেন। কিন্তু এবার আর বাংলাদেশে থাকতে চাইছেন না নিক্সন। বলা ভালো, বাংলাদেশে থাকতে পারছেন না। এই যুবক বলছেন, 'এখানে আর থাকতে পারছি না দাদা। আমাদের পক্ষে আর বাংলাদেশে থাকা সম্ভব হবে না। সপরিবারে কলকাতায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশে আমি নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি। আমার ব্যবসা, অফিস, সব শেষ। যাদের কাছে টাকা পেতাম তারা সবাই ৪ অগাস্ট পালিয়েছে। আমি কলকাতা যাব। কিন্তু আমার কাছে টাকা নেই। আমার সব শেষ হয়ে গিয়েছে। এদেশে থাকার মতো মন নেই।' কলকাতা আসার জন্য টাকা জোগাড় করার চেষ্টা করছেন নিক্সন। কিন্তু তিনি কলকাতায় সপরিবারে আসতে পারলেও, কীভাবে এই শহরে পাকাপাকিভাবে থাকার অনুমতি পাবেন, সেটা স্পষ্ট নয়।
বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে আসার লক্ষ্যে বহু মানুষ
নিক্সন নিঃস্ব হয়ে গিয়ে বরিশাল ছেড়ে কলকাতায় আসার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাংলাদেশের অনেক বিত্তশালী ব্যক্তিও পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকেই মোটা টাকা খরচ করে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এসে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এর জন্য সীমান্তবর্তী অঞ্চলে দালালদের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছেন। আওয়ামি লিগের নেতাদের পক্ষে এখন বাংলাদেশে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাঁদের বাড়িতে হামলা চালানো হচ্ছে। এই কারণেই দেশ ছাড়তে মরিয়া বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন সাংসদরা।
সীমান্তে সক্রিয় দালালচক্র
বাংলাদেশ থেকে যাঁরা বেআইনিভাবে পশ্চিমবঙ্গে এসে আশ্রয় নিচ্ছেন, তাঁদের সীমান্ত পার করিয়ে দেওয়া এবং এদেশে নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য মোটা টাকা নিচ্ছে দালালরা। এই টাকা খরচও করছেন বাংলাদেশের ধনী ব্যক্তিরা। সীমান্তরক্ষী বাহিনী নজরদারি চালাচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেকেই বাংলাদেশ ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসছেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
এতটাই ভারত বিদ্বেষ! নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের সাফল্যের স্মারক ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে পিছপা হল না বাংলাদেশিরা
'আশাহত হবেন না, আমি শীঘ্রই বাংলাদেশে ফিরব,' দৃপ্ত ঘোষণা বার্তা শেখ হাসিনার