
Naihati News: ১৭ বছরের কিশোরকে হত্যার ঘটনায় উত্তপ্ত নৈহাটি বিধানসভার শিবদাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আটিসারা গ্রাম। শুক্রবার বেলায় মৃত কিশোরের মামার বাড়িতে গেলেন বিজেপির ব্যারাকপুর জেলার সভাপতি মনোজ ব্যানার্জি, বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডে। সেখানে গিয়ে বাংলার পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির প্রতিনিধি দল।
বিজেপির ব্যারাকপুর জেলার সভাপতি মনোজ ব্যানার্জি বলেন, ''বাংলার পুলিশ অপদার্থ। তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করছে।'' অপরদিকে প্রিয়াঙ্গু পান্ডে বলেন, ''মৃতের মামা দলের কার্যকর্তা। আম পাড়ার জন্য একজন কিশোরকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল। তৃণমূলের রাজত্বে হিন্দু নিধন চলছে। আর তৃণমূল সরকার পুলিশের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে। পুলিশের কিছুই করার নেই।''
সূত্রের খবর, গাছে ঝুলছিল কাঁচা আম। তা দেখে লোভ হতেই কয়েকটি আম পাড়তে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। একটুখানি আম পাড়ার শাস্তি যে এতবড় হবে তা হয়ত স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি ওই কিশোরের পরিবার। গাছ থেকে আম পাড়ার অপরাধের বেধড়ক মারে প্রাণ গেল কিশোরের। ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটির শিবদাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আটিসারা গ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই কিশোরের নাম, সুদীপ্ত পণ্ডিত। ঘটনার পর থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী।
জানা গিয়েছে, নিহত কিশোর সুদীপ্ত পণ্ডিত কাঁচরাপাড়ার বাসন্তী তলার বাসিন্দা। নৈহাটির শিবদাসপুরে একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে এসেছিল সে। শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ফিরছিল সুদীপ্ত। সেই সময় একটি আমবাগানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল সে। জানা গিয়েছে, সেই সময় রাস্তার পাশে একটি গাছে আম পড়ে থাকতে দেখে। তড়িঘড়ি আম কুড়োতে যায়। তা নজরে আসে ওই বাগানের পাহারায় থাকা শেখ ফারহাদ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির। অভিযোগ, সুদীপ্তকে ঘিরে ধরে ওই ব্যক্তি। বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। মারের চোটে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সুদীপ্ত। তার সঙ্গে থাকা বন্ধুবান্ধবরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কিশোরকে মারধরের ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে সামান্য আম পাড়ার জন্য কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত ফারহাদের আমের গুদাম জ্বালিয়ে দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। শেখ ফারহাদ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তার পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বর্তমানে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
অন্যদিকে, তীব্র গরমে মিড-ডে মিলের বদ্ধ ঘরের মধ্যেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে তিনটি সেন্টারের শিশু শিক্ষা। ফ্যান থাকলেও তা বন্ধ রাখার নিদান সেন্টারের শিক্ষিকার। শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে বিক্ষোভ অভিভাবকদের।
আবারও আইসিডিএস সেন্টারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, তীব্র গরমে নাজেহাল পড়ুয়ার। অভিযোগ, ফ্যান থাকলেও এই গরমে ফ্যান চালাতে দেন না শিক্ষিকারা। মিড-ডে মিলের ঘরের মধ্যেই হচ্ছে কাঠের জ্বালে মিড-ডে মিলের রান্না, পাশেই আবার ছোট ছোট শিশুদের পড়ানো হচ্ছে। আরিফ মিড-ডে মিলের ঘরটি বদ্ধ হওয়ায় কাঠের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ছোট ছোট শিশু ছাত্র-ছাত্রীদের। এছাড়াও উনুনের রান্নার সময় যে কোন মুহূর্তে আগুন থেকে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর এই ঘটনা নিয়ে শিশুদের সুরক্ষা চেয়ে সোচ্চার সাধারণ মানুষ থেকে অভিভাবকরা। ঘটনাটি নদী আর শান্তিপুর ব্লকের বেলঘরিয়া ২ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চাপাতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
জানা গিয়েছে, এই বিদ্যালয়ের তিনটি আইসিডিএস সেন্টার চলে।সেখানেই ১১১ নাম্বার আইসিডিএস সেন্টারের শিক্ষিকা মিঠুদেব শর্মা দীর্ঘদিন ধরে আইসিডিএস সেন্টার পরিচালনার ক্ষেত্রে উদাসীন ও শিশুদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনরকম নজরদারি দেননা।একদিকে তীব্র গরম সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় তরফ থেকে ফ্যান চালানোর অনুমতি থাকলেও আইসিডিএস সেন্টারের শিক্ষিকা সেই ফ্যান চালাতে দেন না। এছাড়াও পুষ্টিকর খাবার নিয়েও একাধিক অভিযোগ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
তবে এলাকাবাসীরা এই আইসিডিএস সেন্টার এর বিরুদ্ধে একাধিক প্রশাসনিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে এই শিক্ষিকাকে এই আইসিডিএস সেন্টার থেকে সরাতে হবে। এবং আগামী দিন এই শিশুদের কথা মাথায় রেখে যাতে সুষ্ঠুভাবে আইসিডিএস সেন্টারে চলে তারই ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।