মমতার সঙ্গে সংঘাতের পরেই ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে ভয়াবহ আগুন! নেপথ্যে কে বা কারা? প্রাণ নিয়ে চিন্তায় মহারাজরা

Published : May 27, 2024, 10:35 AM IST
school fire

সংক্ষিপ্ত

ভারত সেবাশ্রম সংঘের টিনচালার সারি সারি ক্লাসঘরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অন্তত ছ’টি ক্লাসঘরে হঠাৎ আগুন দেখে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।

রবিবারের নিরুত্তাপ সকাল। ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবের অপেক্ষায় তখন প্রহর গুনছে রাজ্য। তারই মাঝে ঘটে গেল ভয়াবহ ঘটনা। ছুটির দিনে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠল ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের স্কুলে! আশ্রমের স্কুলঘরে কীভাবে আগুন লাগল, তা বুঝে ওঠার আগেই নিমেষে পুড়ে খাক একাধিক স্কুলঘর।

রবিবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা অগ্রসেন কলেজ মোড়ের ভারত সেবাশ্রম সংঘের টিনচালার সারি সারি ক্লাসঘরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অন্তত ছ’টি ক্লাসঘরে হঠাৎ আগুন দেখে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। আগুন আয়ত্ত্বে আনতে রীতিমত ছোটাছুটি শুরু করে দেন তাঁরা।

ভারত সেবাশ্রম সংঘের স্কুল ক্যাম্পাসে আচমকা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র রহস্য দানা বেঁধেছে। কেন আগুন লাগল! কীভাবেই বা আগুন লাগল। আদৌ আগুন লাগল নাকি লাগিয়ে দেওয়া হল। একাধিক প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে। উল্লেখ্য দিন কয়েক আগেই ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সঙ্গে সংঘাত বেঁধেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

হুগলির গোঘাটে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে নাম করে ভারত সেবাশ্রম সংঘের এক মহারাজ ও আসানসোলের রামকৃষ্ণ মিশনকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমোর দাবি ছিল, রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সংঘের মহারাজদের একাংশ সরাসরি রাজনীতি করছেন। এরপরেই রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর পাল্টা জবাব দেয় দুই সংগঠনই। তারই রোষে কি পড়তে হল ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে! প্রশ্ন উঠছে। দিন কয়েক আগে সেবক রোডের ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের ভবন দখল নিয়ে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনাও কেউ ভুলে যাননি। তারপরেই এই অগ্নিকান্ডের ঘটনার কোন যোগ সূত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার দাবি করছেন স্থানীয়রা।

তবে এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত ভারত সেবাশ্রম সংঘের ডালখোলা শাখার প্রধান স্বামীজি বিরাত্মানন্দ মহরাজ বলেন, “মারাত্মক ঘটনা। কারা আশ্রমের স্কুল ঘরগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিল এখনও বুঝতে পারছি না। তবে পুলিশ ভালোভাবে তদন্ত করলেই আগুন ধরানোর নেপথ্যে চক্রান্তকারীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।” এদিন ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আশ্রমের শিক্ষাকেন্দ্রে আগুন লাগার অনেক পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন পৌঁছয়। সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছলে শিক্ষাকেন্দ্রের ক্লাসঘরগুলো আগুনের গ্রাস থেকে রক্ষা করা সম্ভব হত।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
click me!

Recommended Stories

কেন যান নি গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে? দেখুন কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Suvendu Adhikari: বঙ্কিমদা বলায় মোদীকে তুলোধনা তৃণমূলের, পাল্টা দিয়ে চরম আক্রমণ শুভেন্দুর