এবার কাঠগড়ায় এক গুরুদেব।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বীরভূমের দুবরাজপুরে। নির্যাতিতার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে সেই অভিযুক্ত গুরুকে। জানা যাচ্ছে, ধর্ষণের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি। তবে মহিলার সম্মতি নিয়েই এই কাজ করেছে বলে জানিয়েছে জনৈক সেই গুরুদেব।
অভিযুক্ত সেই গুরুদেবের নাম হল উজ্জ্বল দাস। চলতি সপ্তাহে দুবরাজপুর ব্লকের যশপুর পঞ্চায়েতের একটি গ্রামে তিনি গেছিলেন দীক্ষা দিতে। সেই গ্রামেরই বাসিন্দা ঐ বধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। মহিলা এবং তাঁর স্বামী দীক্ষা নিতে যান গুরুদেবের কাছে। প্রথমে স্বামীকে দীক্ষা দেওয়া হয়। তারপর ওই মহিলাকে দীক্ষা নেওয়ার জন্য ডাকেন দীক্ষাগুরু উজ্জ্বল।
কিন্তু সুযোগ বুঝে এবং ভুল বুঝিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন দীক্ষাগুরু। এই ঘটনার তারপর বাড়িতে গিয়ে মহিলা তাঁর স্বামীকে জানান। এরপরেই তড়িঘড়ি তাঁর স্বামী দুবরাজপুর থানায় দীক্ষাগুরুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর শুক্রবার, রাতের দিকে অভিযোগ পেয়ে এক ঘণ্টার মধ্যেই উজ্জ্বলকে গ্রেফতার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ।
জানা গেছে, ধৃতের বাড়ি দুবরাজপুর ব্লকের যশপুর পঞ্চায়েতের কৃষ্ণনগর গ্রামে। ধৃত দীক্ষাগুরু উজ্জ্বল দাসকে শনিবার দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তদন্তের স্বার্থে তাঁকে চারদিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর দিয়েছেন।
কিন্তু এই এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বীরভূমের দুবরাজপুর এলাকায়। নির্যাতিতার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে শেষপর্যন্ত অবশ্য গ্রেফতার করা হয়েছে সেই অভিযুক্ত গুরুদেবকে। তবে তদন্ত চলছে। কিন্তু মহিলার সম্মতি নিয়েই এই কাজ করেছে বলে জানিয়েছে জনৈক সেই গুরুদেব উজ্জ্বল।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।