শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ সিবিআই দফতরে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তারপর থেকেই তাঁকে টানা জেরা করা হয়। প্রতিবেদন লেখার সময় অর্থাৎ রাত সাড়ে ৮টার সময়ও সিবিআই দফতরে ছিলেন তিনি।
সিবিআই-এর নিজাম প্যালেসের দফতরে ম্যারাথন জেরার মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সকাল ১১টার আগে অভিষেক সিবিআই দফতরে পৌঁছে দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর তারপর থেকে তাঁকে টানা জেরা করা হয়। সূত্রের খবর তিন দফায় তাঁকে জেরা করা হয়। শুধুমাত্র কুন্তল ঘোষের চিঠির বিষয় নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে না , নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক বিষয় নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদিন তাঁকে চার সিবিআই কর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করে তৃণমূল নেতাকে। সূত্রের খবর কুন্তলের চিঠি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলেও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন সিবিআই কর্তাদের।
শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ সিবিআই দফতরে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তারপর থেকেই তাঁকে টানা জেরা করা হয়। প্রতিবেদন লেখার সময় অর্থাৎ রাত সাড়ে ৮টার সময়ও সিবিআই দফতরে ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে জেরা করা হয়। সিবিআই সূত্রের খবর অভিষেককে দফতরে বসিয়ে রেখেই তাঁর বয়ান খতিয়ে দেখেন সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সঙ্গেও অভিষেকের বয়ান নিয়ে আলোচনাও করে। এর আগেও কয়লাকাণ্ডে অভিষেককে টানা ৯ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল দিল্লিতে। আরও একবার কয়লাকাণ্ডে তাঁকে ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করা হয়।
অন্যদিকে এদিন সকাল থেকেই ডায়মন্ডহারবারের বিস্তীর্ণ এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অভিষেক ঘনিষ্ট সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের, যিনি কালীঘাটের কাকু হিসেবে পরিচিত তাঁর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালান হয়। পাশাপাশি অভিষের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতেও সকাল ৭টা থেকে তল্লাশা চালায় ইডি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে অভিষেককে জেরার দিনই কেন্দ্রীয় সংস্থা যথেষ্ট তৎপর। অন্যদিকে অভিষেকও সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার আগেই চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন। পাশাপাশিত তিনি আরও জানিয়েছেন , সেখানে তিনি জরুরিভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানাবেন।
তবে শুক্রবারই অভিষেককে তলব করে সিবিআই। কয়েক ঘণ্টার নোটিশেই হাজিরা দিতে নির্দেশ দেয়। বাঁকুড়া থেকে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি ছেড়ে রাতারাতি কলকাতায় ফিরে আসেন অভিষেক। এই ঘটনায় রীতিমত উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, অভিষেককে হেনস্থা করা হচ্ছে। সেই কারণেই তৃণমূল নেতার পিছনে ইডি আর সিবিআই লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন অভিষেক কাউকে ভয় পায় না। একই কথা বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনিও জানিয়েছিলেন তিনি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করবেন।
আরও পড়ুনঃ