যেদিন হাওড়াতে অস্ত্র নিয়ে বিজেপি মিছিল করল, সেদিনই বিকেলে এক প্রেস কনফারেন্স করে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ফুটেজে দেখা যায় বিজেপির এক কার্যকর্তার হাতে ধারালো তরোয়াল রয়েছে।
রামনবমীর শোভাযাত্রায় অশান্তি ঘিরে রাজনৈতিক টানাপোড়েন অব্যাহত। সোমবার রাতে হুগলির রিষড়ার হিংসার ঘটনায় মুখ খুললেন রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি স্পষ্টভাবে অভিযোগ করেন “দিলীপ ঘোষ ও বিজেপি পূর্বপরিকল্পিতভাবেই ভাঙচুর চালিয়েছে। ধ্বংসাত্মক উদ্দেশ্য নিয়ে এই হামলা করা হয়েছে।” এই ঘটনার তীব্র ভাষায় নিন্দা করেছেন তিনি।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন যেদিন হাওড়াতে অস্ত্র নিয়ে বিজেপি মিছিল করল, সেদিনই বিকেলে এক প্রেস কনফারেন্স করে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ফুটেজে দেখা যায় বিজেপির এক কার্যকর্তার হাতে ধারালো তরোয়াল রয়েছে। তবে বিজেপি তারপরেই গোটা ঘটনা অস্বীকার করে ও ওই ভিডিও ফুটেজকে ভুয়ো বলে দাবি করে। বিজেপি জানায়, হাওড়ায় সাম্প্রদায়িক হিংসার চক্রান্তের জন্য বিজেপিকে অভিযুক্ত করে, তৃণমূলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গত শুক্রবার একটি ধর্মীয় মিছিলের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যেখানে একজন যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতে দেখা গেছে। বিজেপির অভিযোগ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্ট করা ভিডিওটি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আয়োজিত একটি মিছিলের। হাওড়ার সমাবেশের নয়।
এই ঘটনা ও বিজেপির দাবির উল্লেখ করে শশী পাঁজা বলেন বিজেপি যে মিথ্যা দাবি করছে, তার প্রমাণ দিয়েছে হাওড়া পুলিশ। তাদের হাতে ধরা পড়েছে সুমিত সাউ নামে বিজেপির এক নেতা, যার আসল বাড়ি হাওড়ায়। সে ওই মিছিলে অস্ত্র নিয়ে যাচ্ছিল বলে স্বীকার করেছে। এই অভিযুক্তকে হাওড়া পুলিশ গ্রেফতার করেছে বিহারের মুঙ্গের থেকে। জবানবন্দিতে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে সুমিত বলেও জানান তৃণমূলের এই মন্ত্রী।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও একই অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন সুমিত সাউকে হাওড়া পুলিশ মুঙ্গের থেকে গ্রেফতার করে সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছে। এই সুমিত সাউই বিজেপির মিছিলে বন্দুক নিয়ে যাচ্ছিল বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকাশ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে। কুণাল ঘোষের প্রশ্ন এই মুঙ্গের বাহিনীকে হাওড়ায় এনে গন্ডগোল বাঁধালো কারা! বিজেপি এই ঝামেলার ও অশান্তির মূলে রয়েছে, তা প্রমাণিত।
কুণাল ঘোষ বলেন সুমিত সাউয়ের সঙ্গে আর কারা কারা মুঙ্গের থেকে এসেছিল, কাদের হাতে কটা করে অস্ত্র ছিল, এই সব তথ্য এবার বের করবে সিআইডি। বিজেপির চক্রান্তকারীদের একজনও যেন ছাড়া না পায় ও তাদের শাস্তি যেন কড়া হয়, তা নিশ্চিত করার আবেদন করেছেন কুণাল ঘোষ।