অমিত শাহ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠকের কথা উল্লেখ করে, অধীর রঞ্জন চৌধুরী দাবি করেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে একটি চুক্তি করতে রাজ্য সফর করছেন।
বরাবরই তাঁর আক্রমণের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী এদিন বলেন নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে গোপন আঁতাত রয়েছে। তিনি এই দুই নেতাকে একই ধারণার রূপকার হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অধীর রঞ্জন বলেছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে একটা বোঝাপড়া রয়েছে। মমতা তাই এমন কিছু করতে পারবেন না যা মোদী রাগিয়ে দেয়। মোদী যখন বলেন – ভারত 'কংগ্রেস মুক্ত', মমতাও বলেন বাংলা থেকে কংগ্রেসকে সরিয়ে দিতে হবে। অনেকে ভারত জোড়ো যাত্রার প্রশংসা করছেন, কিন্তু তারা দুজনেই তা বুঝতে পারছেন না। তিনি বললেন এটা 'মো-ম' সমীকরণ।
মোদী ও মমতার মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতা হয়েছে
এর আগেও অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি চুক্তি করেছেন। অমিত শাহ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠকের কথা উল্লেখ করে, অধীর রঞ্জন চৌধুরী দাবি করেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে একটি চুক্তি করতে রাজ্য সফর করছেন। এই লোকসভা সাংসদ বলেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফরের পরেই দেখবেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির তদন্ত ধীরগতিতে হবে।
বন্দে ভারত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কটাক্ষ করেন চৌধুরী
ডিসেম্বর মাসে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলায় বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করেছিলেন। এ বিষয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরী ব্যঙ্গ করে বলেন, আমরা কখনো শুনিনি কোনো প্রধানমন্ত্রী ট্রেনের উদ্বোধন করেছেন। আমি রেলমন্ত্রীও ছিলাম, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কোনও ট্রেনের উদ্বোধন করেননি।
এদিন তৃণমূলকে রীতিমত হুঁশিয়ারি দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, 'যারা নিজের হাত দিয়ে মোদির পা ধরেন তারা কংগ্রেসের হাত কাটতে পারে না। কংগ্রেস দুর্বলদের পার্টি নয়। শহীদদের পার্টি। বুকের মধ্যে হিম্মতের আগুন জ্বালান। আজ না হয় কাল আমরা বাংলায় সরকার গড়ব। আপনি আমাদের মারবেন। আপনার দলের অন্তর কলহের আজ না হয় কাল তৃণমূল শেষ হয়ে যাবে।' এদিন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে একযোগে বিজেপি এবং তৃণমূলকে নিশানা করেন অধীর চৌধুরী। তিনি কংগ্রেসের হাত শক্ত করতে আহ্বান জানান। তাঁর কথায় বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস দুটি দলই একে ওপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলছে। ক্ষুন্ন হচ্ছে রাজ্যের স্বার্থ।