আরজি কর হাসপাতালের রাতে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। নড়েচড়ে বসেছে নবান্নও। রাজ্য সরকার রাজ্যের মহিলা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় বিশেষ কর্মসূচি চালু করল। যারা নাইট শিফটে কাজ করেন তাদের নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। নাইটশিফটে কর্তব্যরত মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের জন্য 'রাত্রের সাথী' নামে একটি প্রকল্পও চালু করল। সবমিলিয়ে রাজ্য সরকার ১০টি নির্দেশিকাও জারি করেছে।
রাজ্যের ১১টি নির্দেশিকাঃ
১। কর্মরত মহিলাদের জন্য আলাদা রেস্টরুম থাকবে। সেখানে টয়লেটের বন্দোবস্ত করতে হবে।
২। নাইটডিউটিতে থাকা মহিলাদের জন্য চালু হবে 'রাত্রি সাথী'। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলা স্বেচ্ছাসেবকদের।
৩। হাসপাতালে যেসব মহিলারা নাইট ডিউটি করবেন তাদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে।
৪। মহিলাদের জন্য সেফ জোন তৈরি করা হবে। গোটা এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হবে।
৫। একটি বিশেষ মোবাইলফোন অ্যাপ তৈরি হবে। যাতে অ্যালার্ম ডিভাইসথাকবে। প্রত্যেক কর্মরত মহিলাকে সেটা ডাউনলোড করতে হবে। যা স্থানীয় থানা ও পুলিশ কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
৬। জরুরি পরিস্থিতিতে হেলফলাইন নম্বর ১০০ বা ১১২ ব্যবহার করতে হবে।
৭। সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল, জেলা হাসপাতা, সিকিউরিটি চেক হবে। ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্ট করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ কেউ মদ্যপান করেছেন কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
৮। মহিলাদের যৌন হেনস্থা রুখতে শাখা কমিটি তৈরি করতে হবে প্রতিটি সংস্থাকে।
৯। মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিশেষ কর্মসূচি করতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও একই আর্জি জানান হয়েছে।
১০। রাতে মহিলাদের কাজের সূচি এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে, যাতে একটা টিম হিসেবে তাঁরা থাকেন। একা কোনও মহিলাকে নাইট ডিউটিতে দেওয়া যাবে না। আর একে অপর কোথায় যাচ্ছেন, সেটাও জানতে হবে।
রাজ্য সরকার এদিন বেসরকারি সংস্থাকেও রাত্রি সাথীর আচরণবিধি চালু করার আবেদেন জানিয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মহিলাদের হস্টেলে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিশের নাইট পেট্রোলিং-এর ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি হাসপাতাল ও অন্যান্য অফিসের প্রতি তলায় পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্য়বস্থা করতে হবে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রতিটি সদস্য ও কর্মীকে গলায় পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে রাখতে হবে। মহিলাদের যতটা কম সম্ভব নাইট ডিউটি দেওয়া যায় তারই ব্যবস্থা করতে রাজ্য সরকার সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কাছে আর্জি জানিয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।