
TMC News: ভোটের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে শাসক-বিরোধী দল বদলের হিড়িক। উত্তর ২৪ পরগনার ভাঙরে আবার জোর ধাক্কা খেল নওশাদ সিদ্দিকীর আইএসএফ। শওকত মোল্লার ঘরে হাত ছেঁড়ে ISF-শিবিরে যোগ দিলেন তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ খাইরুল ইসলাম। এবার তাঁর দাদা আসরাফ আলী মোল্লাকে দলে টেনে নিল আইএসএফ। দক্ষিণ ২৪ পরগণা আইএসএফ জেলা সভাপতি মালেক মোল্লার হাত ধরে ফুরফুরা শরিফে যোগ দিলেন আইএসএফে।
অন্যদিকে, আইএসএফ-এ যোগ দিয়ে আসরাফ বলেন ‘’আইএসএফ-কে ভালবেসে তিনি নওশাদদের শিবিরে যোগ দিয়েছেন।'' জানা গিয়েছে, প্রথমে তিনি কংগ্রেস। এবং পরে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এই আসরাফ। সূত্রের খবর, নিজের ভাইয়ের উপর রাগ করেই আইএসএফে যোগ দিয়েছেন আসরাফ। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোরের চলছে বলেও জানা গিয়েছে।
এদিকে আসরাফের আইএসএফ-এ যোগদানের মধ্যেই ভাঙড়ে আবারও বড়সড় ধাক্কা খেল আইএসএফ। ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের ভগবানপুর অঞ্চল থেকে প্রায় ৬০ জন আইএসএফ কর্মী ও সমর্থক শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার হাত ধরে এই যোগদান পর্ব সম্পন্ন হয় বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা ও তৃণমূল নেতা তথা বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ খায়রুল ইসলাম। তার উদ্যোগেই এই কর্মীদের দলে টানার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় বলে জানা গেছে।
তৃণমূলে যোগ দেওয়া কর্মীরা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে যে ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে, তাতে অনুপ্রাণিত হয়েই তারা আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভগবানপুর অঞ্চলে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শাসকদলের মতে, এই যোগদান তৃণমূলের ভিত আরও মজবুত করবে এবং বিরোধীদের ভিত নড়বড়ে করে দেবে।
অন্যদিকে, নতুন ভাবে অবৈধ খনি ঝালাই করতে গিয়ে গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দুই ব্যাক্তির। মৃত্যু ব্যক্তিদের নাম সঞ্জিত বাউরী, রবি কর্মকার। তারা দুজনেই বাড়ুলের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, জামুড়িয়া থানার নর্থ সিহাড়সোল আমবাগান এলাকায়। সূত্র মারফত খবরে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত দুটো নাগাদ ইসিএলের সাতগ্রাম এরিয়ার অন্তগত মারাফাড়ি আমবাগান অবৈধ কোয়া খাদানে বেশ কিছু ব্যাক্তি ঝালাই করতে উপস্থিত হয়। যার মধ্যে দুজন নিচে নামতে গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে পড়ে যায়। তাঁদের সঙ্গে থাকা সঙ্গীরা খবর দেয় এলাকায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে জামুড়িয়া থানার পুলিশ দমকল বাহিনী ও সিআইএসএফ কর্মীরা আসে। দেহ তুলতে দেরি হওয়ায় উত্তেজিত হয়ে পড়ে মৃত পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। এদিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।