বেল্ট খুলে মেরে গায়ে গরম মোম ঢেলেছিল! পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ মেদিনীপুরে

Published : Mar 06, 2025, 12:47 PM IST
police reached at mid night

সংক্ষিপ্ত

দলীয় নেত্রী সুশ্রীতা সোরেন দাবি করেন, ‘থানায় নিয়ে গিয়ে ওসি প্রথমেই আমার হাতে ঢেলে দেয় মোমবাতির জ্বলন্ত মোম । এরপর মারধর করা হয়।' এছাড়াও পুলিশ হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এসএফআইয়ের ডাকা ছাত্র ধর্মঘটের দিন ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায় বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেদিন গেট থেকে পুলিশের ধরপাকড়ের অভিযোগ তুলল AIDSO-র আন্দোলনকারীরা। তাদের অভিযোগ, থানায় নিয়ে গিয়ে অমানবিক অত্যাচারের করে পুলিশ। বেল্ট খুলে মার ও গায়ে গরম মোম দেওয়াও মতো অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে।

যাদবপুরের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এবার মেদিনীপুরের পুলিশের বিরুদ্ধে নির্মম অত্যাচারের অভিযোগ সামনে আনল বাম ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন প্রাক্তনীর দাবি, ধর্মঘটে অংশ নেওয়ার কারণেই তাঁদেরকে বিনা প্ররোচনায় আটক করে থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশ নির্মম নির্যাতন চালায়।

ছাত্র ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা যায় বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিক্ষুব্ধ এআইডিএসও-র ছাত্রদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে আন্দোলনকারীদের আটক করে থানায় নেওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালায় পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে সিসিটিভির নজরদারির বাইরে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন সহ মানসিক হেনস্থার মতো গুরুতর অভিযোগ তোলা হল আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। মেদিনীপুরের যে সমস্ত ভিডিও, ছবি সামনে এসেছে, তা দেখার পর পুলিশের তরফে বেশ আক্রমণাত্মক ভূমিকা নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন প্রাক্তনীর দাবি, পুলিশ থানায় নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। দলীয় নেত্রী সুশ্রীতা সোরেন দাবি করেন, ‘থানায় নিয়ে গিয়ে ওসি প্রথমেই আমার হাতে ঢেলে দেয় মোমবাতির জ্বলন্ত মোম । এরপর মারধর করা হয়।' এছাড়াও পুলিশ হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আরও অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘সিসিটিভির আওতার বাইরে নিয়ে গিয়ে বলা হয়, ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে।' নেত্রীর দাবি, 'শান্তিপূর্ণভাবে গিয়েছিলাম। আমরা তো পুলিশের উপর কোনও হামলা করিনি, তাহলে ক্ষমা চাইতে হবে কেন?' এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই পুলিশের পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। পুলিশ সুপার বলেন, ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন পুলিশি অত‌্যাচারের অভিযোগ। সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে আইনের পরিসীমার মধ্যেই।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
click me!

Recommended Stories

১ বছর পরে ২ দিনের সফরে কোচবিহার যাচ্ছেন মমতা, রইল সোম ও মঙ্গলের ঠাসা কর্মসূচি
Dilip Ghosh: বাংলায় ‘বাবরি মসজিদ’! বিজেপির দিলীপ হুমায়ুনকে দিলেন চরম উপদেশ