দুই নাবালিকা কাঁকসা থানা এলাকায় কুলডিহার গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে কাঠ কুড়াতে গিয়েছিল। ফেরার সময় সন্ধ্যে হয়ে যায়। দুই নাবালিকার পথ আটকে দাঁড়ায় চার জন।
আদিবাসী কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ চার জনের বিরুদ্ধে। জঙ্গলের মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে। অভিযুক্তরা নির্যাতিতার বাবাকে চরম হেনস্থা করে। ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে পুলিশের কাছে না যাওয়ার হুকুম শোনায়। কিন্তু নির্যাতিতা নিয়ে হাসপাতালে গেলেই পুলিশের কাছে খবর যায়। তারপরই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যান্য দিনের মতই দুই নাবালিকা কাঁকসা থানা এলাকায় কুলডিহার গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে কাঠ কুড়াতে গিয়েছিল। ফেরার সময় সন্ধ্যে হয়ে যায়। দুই নাবালিকার পথ আটকে দাঁড়ায় চার জন। এক নাবালিকা কোনওক্রমে চার তরুণকে পাশ কাটিয়ে গ্রামে এলেও অন্যজনকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। জঙ্গলের মধ্যে নাবালিকাকে জোর করে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তারপর জঙ্গলের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। অন্যজন গ্রামে গিয়ে গোটা ঘটনার কথা জানায়। তারপরই গ্রামের মানুষ ও পরিবারের সদস্যরা নির্যাতিতাকে খুঁজতে । প্রায় ২ ঘণ্টা পরে জঙ্গলের মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। গ্রামে নিয়ে আসে।
কিন্তু গ্রামে ঢুকে অভিযুক্ত চার জনই নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের শাঁসায়। পুলিশের কাছে না যেতে হুমকি দেয়। পুলিশের কাছে গেলে গ্রামছাড়া করার হুমকিও দেওয়া হয়।
কিন্তু নির্যাতিতার অবস্থা ক্রমশই খারাপ হয়। শেষপর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই পুলিশের কাছে খবর যায়। এই ঘটনায় পুলিশ এক নাবালক সহ চারজনকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফকতার করে। কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতার মা ও বাবা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।