
Bhangar News: ভোররাতে ভাঙড়ে তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর, এলাকায় তীব্র উত্তেজনা। ভাঙড়ে ফের রাজনৈতিক অশান্তি। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কাইজার আহমেদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর ও গুরুত্বপূর্ণ নথি লুঠের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই ভাঙড় থানার বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
সূত্রের খবর, শনিবার কাইজার আহমেদের অনুগামীরা আতসবাজি ফাটাচ্ছিলেন। এর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগরে এক সভা থেকে তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গীর খাঁন ঘোষণা করেন— তাঁকে জয়নগর, যাদবপুর, ডায়মন্ডহারবার ও মথুরাপুর লোকসভার অন্তর্গত একটি করে বিধানসভা এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই কাইজার আহমেদের অনুগামীরা উদযাপনে মেতে ওঠেন। অভিযোগ, কিছুক্ষণের মধ্যেই একদল দুষ্কৃতী এসে কাইজারের পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং গুরুত্বপূর্ণ নথি লুঠ করে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে ঘটকপুকুর-গোবিন্দপুর এলাকায় কাইজারের অনুগামী ও শওকত মোল্লা ঘনিষ্ঠদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ভাঙড় থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এলাকাজুড়ে এখনও থমথমে পরিবেশ।
অন্যদিকে, শনিবার রাতে ফের চাঞ্চল্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে। নার্সিং কর্মীকে হেনস্তা ও হাসপাতালের সরঞ্জাম ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে রোগীর পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় খরগ্রাম থানার বালিয়া হাট এলাকা থেকে মজাম শেখ নামে এক ব্যক্তি বুকে ব্যথা নিয়ে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন।
অভিযোগ, চিকিৎসায় দেরি হওয়ায় রোগীর আত্মীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপরই নার্সিং কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করে এবং হাসপাতালের বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুর করে বলে জানা যায়। ঘটনার খবর পেয়ে কান্দি থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।