পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বারোটি রাজ্যে চলছে এখন এসআইআর এর কাজ। মঙ্গলবার বিকেল চারটে পর্যন্ত সাড়ে ছয় কোটির বেশি ফর্ম দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে রাজ্যে। এই এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করে জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামী ৪ঠা ডিসেম্বর। এরপর ৯ই ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা, তবে এই খসড়া ভোটার তালিকার সঙ্গে থাকবে আরেকটি তালিকা যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর নির্বাচন কমিশন বিহারের পর এবার প্রথম এই তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে।
25
বিহারের পর পশ্চিমবঙ্গে প্রকাশ হতে চলেছে খসড়া ভোটার তালিকা
বিহারের পর এবার প্রথম এই তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। যেখানে এই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। তার পাশেই ঝোলাতে হবে এই নতুন তালিকা। ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের প্রত্যেককেই দেওয়া হবে এনুমারেশন ফর্ম। যারা এই ফর্ম পূরণ করে জমা দেবেন তাদের নাম উঠবে খসড়া ভোটার তালিকায়। আর যারা এই ফর্ম পূরণ করে জমা দেবেন না তাদের নাম উঠবে পাশের তালিকায়। অর্থাৎ খসড়া ফোটার তালিকা থেকেই বাদ চলে যাবে তাদের নাম। যারা এই ফর্ম পূরণ করে জমা দেবেন না। কেবলমাত্র এই তালিকায় ঝুলানো হবে না তালিকার সঙ্গে কী কারণে নাম বাদ গেল সেটাও এই ফর্মে লেখা থাকবে।
35
বাদ যাবে মৃত ভোটারদের নাম?
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, কোনও মৃত ভোটার যিনি এই ফর্ম জমা দিতে পারবেন না। তার নাম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে বলেই নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এবং বিহারের এস আই আর এর পর বর্তমানে যেসব রাজ্যে এস আই আর হচ্ছে সেখানে এই নিয়ম বলবৎ করেছে। যা নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসের এই প্রথমবার হতে চলেছে গোটা দেশে।
সম্প্রতি বিহারে এস আই আর এর পর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তখন বহু মানুষের নাম বাদ যাওয়ার ফলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল অনেক রাজনৈতিক দল তখন সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে কেন তাদের নাম বাদ গেল তা আলাদা তালিকা করে প্রকাশ করতে হবে আর এবার সেই কারণেই নির্বাচন কমিশন আগামী ৯ই ডিসেম্বর যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে তার পাশে এই তালিকাও প্রকাশ করতে চলেছে।
55
কারা বাদ পড়তে চলেছেন ভোটার তালিকা থেকে?
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এখান থেকেই পরিষ্কার হয়ে যাবে মৃত ভোটার, ভুয়ো ভোটার বা অন্য কোথাও স্থানান্তরিত হয়ে যাওয়া ভোটারের নাম। তাই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার আগে অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে আনুমানিক কতজন ২০২৬ সালের ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে চলেছেন। এখন কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা তারপরেই দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে সকলের কাছেই সবকিছু। এমনটাই জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।