পেট্রাপোলের মৈত্রী দ্বার ও যাত্রী টার্মিনালে কী কী সুবিধে রয়েছে, অমিত শাহের উদ্বোধনের পর দেখুন ছবিতে
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার বনগাঁর পেট্রাপোলে যাত্রী টর্মিনালস ও মৈত্রী দ্বারের উদ্বোধন করলেন। অন্যন্ত উন্নত ও আধুন হল ভারতের বিখ্যাত স্থলবন্দরটি।
Saborni Mitra | Published : Oct 27, 2024 11:31 AM IST
পেট্রাপোল
পেট্রাপোল দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবন্দর এবং এটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার। ভারত-বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ বাণিজ্যই হল এই পথ দিয়ে।
ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
পেট্রাপোল স্থলবন্দরটি ভারতের অষ্টম বৃহত্তম আন্তর্জাতিক অভিবাসন বন্দর এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বার্ষিক ২৩.৫ লক্ষেরও বেশি যাত্রীদের চলাচল করে।
যাত্রী টার্মিনাল
এবার থেকে আন্তর্জাতিক ট্রান্সপোর্ট হাবের জাঁকজমক পাওয় যায়বে এখানে। আধুনিক সুবিধা যেমন ভিআইপি লাউঞ্জ, ডিউটি ফ্রি শপ
বিশেষ সুবিধে
শিশুদের খাওয়ানোর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে থাকছে জল ও খাবারের উপযুক্ত ব্যবস্থা। চিকিৎসার সুবিধেও পাওয়া যাবে এখানে।
যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে
যাত্রী টার্মিনালে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে এখানে দৈনিক ২০০০০ যাত্রী যাতায়াত করতে পারে। অভিবাসন, কাস্টমস, এবং নিরাপত্তা পরিষেবাগুলি এক ছাদের নীচে থাকবে৷
আয়তন
৫৯৮০০ বর্গ মিটারের একটি উল্লেখযোগ্য বিল্ট-আপ এলাকা। স্বয়ংক্রিয় এন্ট্রি এবং এক্সিট সিস্টেমের ব্যবস্থা রয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ ভ্রমণের সুবিধে বাড়িয়ে দেয় এই নতুন যাত্রী টার্মিনাল।
মৈত্রী দ্বার
মৈত্রী দ্বার হল জিরো লাইনের একটি যৌথ কার্গো গেট যা উভয় দেশের সম্মতিতে তৈরি হয়েছে। অমিত শাহ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন ২০২৩ সালে।
যাতায়াত
এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ৬০০-৭০০ ট্রাক যাতায়াত করে। আগামী দিনে সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলেও আশা করা হচ্ছে। কারণ মৈত্রী দ্বার স্থাপনের কারণ দুটি গেট দিয়ে যাতায়াত করা যাবে।
আশা
মৈত্রী দ্বারের প্রবর্তন সীমান্তে পণ্য খালাস ও ছাড়পত্র উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত করবে, যার ফলে বাণিজ্য দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশেষ ব্যবস্থা
গেট আধুনিক দিনের সুবিধা যেমন ANPR, বুম ব্যারিয়ার, ফেসিয়াল রিকগনিশন ক্যামারা এবং ভারতীয় ও বাংলাদেশী ট্রাকের প্রবেশ-নিয়ন্ত্রিত প্রবেশ/প্রস্থান পয়েন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।