বর্ধমানের জনসভা থেকে অমিত শাহ বলেন, 'ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মীদের হত্যাকারীদের পাতাল থেকে খুঁজে বার করে জেলে ভরবে বিজেপি সরকার।'
ভোট প্রচারে রাজ্যে এসে অমিত শাহকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। ভোট পরবর্তী হিংসা থেকে শুরু করে রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে সরব হন অমিত শাহ। তিনি রামমন্দির থেকে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের মত ইস্যুগুলিকেও তুলে ধরেন। বর্ধমানের সভা থেকে অমিত শাহ স্পষ্ট করে ঘোষণা করেন এইরাজ্যে সিএএ কার্যকর করা হবে। অমিতা শাহ আরও বলেন, 'মমতা 'মা মাটি ও মানুষ' স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন, কিন্তু তিনি পশ্চিমবঙ্গে মাফিয়াদের সরকার চালাচ্ছেন। আমাদের সমর্থন করুন, কারণ এটি শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদির সরকারই 'সোনার বাংলা'র স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তা করতে পারে।'
বর্ধমানের জনসভা থেকে অমিত শাহ বলেন, 'ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মীদের হত্যাকারীদের পাতাল থেকে খুঁজে বার করে জেলে ভরবে বিজেপি সরকার।' ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অমিত শাহ দলের বেশ কয়েকজন কর্মীর নাম করেন। তিনি বলেন সকলেই মমতা দিদির গুন্ডাদের হাতে খুন হয়েছে। তারপরই তিনি সুর চড়িয়ে বলেন, 'আমি আজ বলে যাচ্ছি পাতাল থেকে খুঁজে বার করে এনে জেলে পাঠানোর কাজ করবে বিজেপি। 'এদিন অমিত শাহ রাজ্যের উন্নয়মনের কেন্দ্রের পাঠান টাকা খরচ হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, 'মোদীজি বাংলার উন্নয়নের জন্য ১০ লক্ষ কোটা টাকা পাঠিয়েছেন। কিন্তু সেই টাকা কোথায় গেল? যারা বাংলার মানুষের উন্নয়নের টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাদের উল্টো করে সোজা করার কাজ করবে মোদী সরকার।'
অমিত শাহ বাংলা থেকে ৩০টি আসন বিজেপি বলেও দাবি করেন। তিনি তৃণমূলের পাশাপাশি কংগ্রেস ও কমিউনিস্টদেরও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ৭০ বছর ধরে রাম মন্দির ইস্যু ঝুলিয়ে রেখেছিল কমিউনিস্ট ও কংগ্রেসরা। আরও বলেন, রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মমতাদি ও তাঁর ভাইপোকে আমন্ত্রণ পাঠান হয়েছিল কিন্তু তাঁরা যাননি। তিনি আএই রাজ্যে সিএএ অবশ্যই কার্যকর হবে বলে প্রচার মঞ্চ থেকেই মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন।