সূত্রের খবর সোমবার সুকন্যাকে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ও আয়কর রিটার্টের যাবতীয় নথি নিয়ে ইডি দফতরে হাজির হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
সোমবার ফের ইডির তলব অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে। গোরুপাচার মামলায় ইডির দিল্লি অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা সুকন্যার গত সপ্তাহেই ইডির তলব সত্ত্বেও হাজিরা এড়িয়েছেন সুকন্যা। আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে তদন্তকারী সংস্থার কাছে আরও কিছু সময় চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি। এবার সোমবার ফের তাঁকে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এদিন কি অবশেষে দিল্লিতে ইডির দফতে যাবেন সুকন্যা। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে সোমবারও সুকন্যা যদি হাজিরা এড়িয়ে যান সেক্ষেত্রে বিষয় আদালতে জানাবে তদন্তকারী সংস্থা। নেওয়া হবে কঠোর পদক্ষেপও। সূত্রের খবর সোমবার সুকন্যাকে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ও আয়কর রিটার্টের যাবতীয় নথি নিয়ে ইডি দফতরে হাজির হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এখন দেখার কেষ্ট-কন্যা কি অবশেষে হাজিরা দেবেন ইডির অফিসে?
প্রসঙ্গত, গত বুধবার ইডির অফিসে হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। মঙ্গলবার অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারিকে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছে ইডি। বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেষ্ট-কন্যাকে তলব করে তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু বুধবার সকালেই ইডি অফিসে হাজিরা দিতে পারছেন না বলে জানিয়ে দিলেন সুকন্যা। তৃণমূল সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই সুকন্যার আইনজীবী মারফত ইডি আধিকারিকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইডির তরফে যদিও এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। সুকন্যার ইডি অফিসে হাজিরা না দেওয়ার কারণও এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই গ্রেফতার হলেন অনুব্রত মন্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সমস্ত নথিপত্র নিয়ে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরা দেন চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ। ইডি সূত্রে খবর, ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদে তদন্তে অসহযোগিতা করছিলেন মণীশ। জবাব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। প্রশ্নের সদুত্তর দেননি। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
মণীশ কোঠারি প্রাথমিকভাবে অনুব্রত মন্ডলের হিসেবরক্ষক হলেও তার বাইরেও অজস্র কাজ ছিল তাঁর। জানা গিয়েছে ২০১১ সালের পর থেকে মণীশ কোঠারির প্রতিপত্তি বেড়েছে ঝড়ের গতিতে। মূলত অনুব্রতর সম্পত্তি সামাল দিয়েই এই প্রতিপত্তির মালিক হয়েছেন মণীশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, অনুব্রত ও সুকন্যা মণ্ডল ছাড়াও বীরভূমের বহু বড় ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টের দায়িত্ব ছিল মণীশের কাঁধে। বাড়ি বোলপুর শ্রীনিকেতন রোডে। বীরভূম শুধু নয়, বীরভূমের বাইরে বিপুল জমি কেনা হয়েছে, সুকন্যা মণ্ডলের নামে ১৭ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। ওইসব তথ্য জানতে চাইছে ইডি। গোরুপাচারের টাকা বিনিয়োগের হাল হকিকত সব জানতেন মণীশ কোঠারি।
আরও পড়ুন -
গরু পাচার মামলার গোপন তথ্য মণীশ কোঠারির কাছে, তার গ্রেফতারিতে কেন আরও জালে জড়ালেন অনুব্রত, জানুন
চোখে চোখে কথা বলো...- এই গানের লাইনই ভার্চুয়াল শুনানিতে সত্যি করে তুললেন 'অপা'
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে পার্থর পরে বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের, কুন্তল-শান্তনুকে বহিষ্কার