চতুর্থবার ক্ষমতায় আসতে মরিয়া মমতা-অভিষেক, ২০২৫ সালের শুরু থেকেই ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস

২০২৬ সালে এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই দলকে আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রইল তৃণমূলের একগুচ্ছ কর্মসূচি। 

২০২৬ সালের নির্বাচনী প্রস্তুতি

আগামী ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। চতুর্থবারের জন্য ক্ষমতায় আসতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। তার জন্য ২০২৪ সালের শেষপর্ব থেকেই প্রস্তুতি শুরু করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

প্রায় বিরোধী শূন্য

এই রাজ্যে বিরোধীরা প্রায় শূন্য। বিধানসভায় একমাত্র বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি। কিন্তু বাইরে তাদের অস্তিত্ত্বের দেখা মেলা ভার।

কিন্তু মরিয়া তৃণমূল

এই অবস্থায় চতুর্থবারের জন্য ক্ষমতায় আসতে ও দলের ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে এখন থেকেই উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নভেম্বর থেকেই শুরু করে দিচ্ছেন প্রস্তুতি।

নভেম্বরের কর্মসূচি

চলতি মাস থেকেই দলীয় কর্মসূচি নিয়েছেন মমতা ও অভিষেক। সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করেই এই কর্মসূচি বলে সূত্রের খবর।

সংগঠনে পরিবর্তন

তৃণমূল সূত্রের খবর নভেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে সংগঠনের বেশ কিছু স্তরে পরিবর্তন আনতে চান মমতা। এই বিষয়ে অভিষেক সহ দলের প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে এই সময় আলোচনা আর পর্যালোচনা করবেন।

দলের পরিবর্তন

মমতা ও দলের সাধারণ সম্পাদক দুজনেই এমন সংগঠন চাইছেন যাতে সেটির দিকে কেউ আঙুল তুলতে না পারে। নেতৃত্ব যাতে দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পরেন সেই দিকেই জোর দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল স্তর থেকেই দলকে মজবুত করতে চান মমতা।

চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু

ছাত্র, যুব-সহ কয়েকটি শাখা সংগঠন এবং গণসংগঠনের কাজের মূল‌্যায়নও শুরু হয়েছে। কারণ, এই সংগঠনগুলির একাংশের চূড়ান্ত নিষ্ক্রিয়তার দরুন নিবিড় জনসংযোগে দলের বেশ কিছু সাংগঠনিক সমস‌্যা হয়েছে।

নতুন বছর থেকেই প্রচার কর্মসূচি

তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর নতুন বছর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রচার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ফেব্রুয়ারি থেকেই অভিষেক নবজোয়ার যাত্রায় বেরোতে পারেন। মমতার রয়েছে ঠাসা কর্মসূচি।

অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন, কেন্দ্রীয় বৈষম্য নীতি ও বিরোধীদের চক্রন্তমূলক কুৎসা-এই তিনটি বিষয়ে অভিষেক তাঁর নবজোয়ার যাত্রায় তুলে ধরতে পারেন। এবারও উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে যাত্রা করবেন তৃণমূলের নম্বর টু।

মমতার কর্মসূচি

নতুন বছরের শুরু থেকে মমতা বন্দ্যোপাঝ্যায় জেলায় জেলায় সরকারি প্রশাসনিক বৈঠক শুরু করতে পারেন। নবান্নের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই দল এই কর্মসূচি চূড়ান্ত করবে বলেও সূত্রের খবর।