এই প্রকল্প যেমন ২০২১ সালে বিপুল সংখ্যক ভোট এনে দেয় তৃণমূলের ঝুলিতে, ঠিক সেই রকমই ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনেও এই প্রকল্পকেই হাতিয়ার করে এগিয়ে যেতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন, বর্ধিত এই টাকা এপ্রিল মাস থেকে পেতে শুরু করবেন প্রকল্পের আওতায় থাকা রাজ্যের মহিলারা। তবে এপ্রিল মাসের ১ তারিখ হয়ে গেলেও কিন্তু সেই টাকা কোন উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি। তাহলে কি কোথাও কোন গন্ডগোল হলো? এখন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করতে শুরু করেছে রাজ্যের প্রকল্পের আওতায় থাকা মহিলাদের মধ্যে। আর এই পেমেন্ট নিয়েই এবার আপডেট দিল রাজ্য সরকার।
রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞদের বড় অংশ মনে করেন, তৃণমূল তৃতীয়বারের জন্য সরকারের প্রত্যাবর্তনের পিছনে যার সবচেয়ে বড় যে ভূমিকা রয়েছে সেটি হল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্প যেমন ২০২১ সালে বিপুল সংখ্যক ভোট এনে দেয় তৃণমূলের ঝুলিতে, ঠিক সেই রকমই ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনেও এই প্রকল্পকেই হাতিয়ার করে এগিয়ে যেতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।
এখন রাজ্যের মহিলাদের টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ শ্রেণীর মহিলাদের টাকা ৫০০ থেকে করা হয়েছে ১০০০। অন্যদিকে তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলাদের ১০০০ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২০০ টাকা। টাকা না পাওয়ার জন্য যে সকল মহিলারা চিন্তা শুরু করেছেন তাদের চিন্তা করার কোনো কারণ নেই বলেই জানানো হয়েছে। কেননা ১ এপ্রিল টাকা ঢোকার কথা থাকলেও ঐদিন রাজ্যের পাশাপাশি দেশের প্রত্যেক ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। আর্থিক বর্ষের সমাপ্তির পর প্রত্যেক বছরই ১ এপ্রিল ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকে। আর সেই কারণেই সোমবার টাকা আসেনি উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে। সোমবার টাকা না এলেও মঙ্গলবার থেকে এই টাকা ঢুকতে শুরু করে দেবে।
এর পাশাপাশি প্রত্যেক উপভোক্তারাই যে একই দিনে টাকা পাবেন তাও কিন্তু নয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে আগামী ৩-৪ এপ্রিলের মধ্যেই টাকা ঢুকে যাবে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে। আবার পূর্ব পরিসংখ্যান বলছে, কোন কোন উপভোক্তাদের টাকা মাসের মাঝেও ঢুকে। সুতরাং টাকা না পেয়ে অযথা কেউ আতঙ্কিত যেন না হন তার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে।
আরও খবরের জন্য এশিয়ানেট নিউজ বাংলা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চোখ রাখুন, এখানে ক্লিক করুন।