২৫ শতাংশ DA দেওয়ার কথা হয়েছে সরকারি কর্মীদের। তবে সব কর্মীরাই এই টাকা পাবেন না। ২৫ শতাংশ DA সমস্ত সরকারি কর্মীকে দেওয়া হবে না।
210
সম্প্রতি ROPA 2009-এর অধীনে বকেয়া ডিএ সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে আলোচনার ঝড় উঠেছে, অনেকেই ভাবছেন যে এর সুফল সকল সরকারি কর্মীই পাবেন। তবে বাস্তব চিত্রটি কিছুটা আলাদা—সব কর্মী এই সুবিধা পাবেন না।
310
এই বকেয়া ডিএ পাওয়ার জন্য একটা যোগ্যতা নির্ভর করছে একটি নির্দিষ্ট সময় সীমার ওপর। মূলত, ROPA 2009 বেতন কাঠামোর আওতায় যে মামলাটি হয়েছে, তা ১ এপ্রিল, ২০০৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ পর্যন্ত সময়কালের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার সঙ্গে সম্পর্কিত।
এই কারণে, শুধুমাত্র যাঁরা এই নির্দিষ্ট সময়কালে সরকারি চাকরিতে কর্মরত ছিলেন, তাঁরাই এই মামলার রায় অনুযায়ী বকেয়া ডিএ পাবেন। যাঁরা এই সময়ের আগে বা পরে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন কিংবা অবসর নিয়েছেন, তাঁরা এই সুবিধার আওতায় পড়বেন না।
510
এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—ROPA 2009-এর আওতায় বকেয়া ডিএ সংক্রান্ত মামলার রায়ের ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বর্তমান মহার্ঘ ভাতার হারে কোনও সরাসরি প্রভাব পড়বে না।
610
বর্তমানে যে হারে ডিএ প্রদান করা হচ্ছে, তা রাজ্য সরকারের নিজস্ব সিদ্ধান্ত এবং অন্যান্য চলমান মামলার উপর নির্ভর করে। যেহেতু ROPA 2009 একটি পুরনো বেতন কাঠামো, তাই তার অধীনে থাকা বকেয়া নিষ্পত্তি বর্তমান ডিএ হারে তৎক্ষণাৎ কোনও পরিবর্তন আনবে না।
710
তবে, এই মামলার একটি পরোক্ষ হলেও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব থাকতে পারে। যদি আদালত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) সরকারি কর্মচারীদের একটি আইনগত অধিকার এবং এটি সর্বভারতীয় মূল্যসূচক (AICPI)-এর ভিত্তিতে নির্ধারিত হওয়া উচিত, তাহলে ভবিষ্যতে ডিএ নির্ধারণের প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।
810
সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই কোনও মামলার রায় বা আদালতের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য জানা অত্যন্ত প্রয়োজন।
910
ROPA 2009-এর আওতায় বকেয়া ডিএ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়ে কর্মরত থাকা কর্মচারীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতে পারে এবং এর ফলে বর্তমান ডিএ হারে সরাসরি কোনও পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা কম।
1010
তবে, ডিএ সংক্রান্ত মামলায় আদালতের ভবিষ্যৎ পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা মহার্ঘ ভাতা নির্ধারণের নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই কর্মচারীদের উচিত সরকারি বিজ্ঞপ্তি ও বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ উৎসের উপর নিয়মিত নজর রাখা।