অনেক মানুষই মনে করে থাকেন যে, বৈশাখী তাবিজ বা কবজ দিয়েই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিজের বশে এনে রেখেছেন। তাঁদের ধারণার বিষয়ে তাবিজের বদলে ‘পাথর’-এর কথা বলেছেন বৈশাখী।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কের চর্চায় প্রায়শই মুখর হন বাঙালি। সম্পর্কের অন্দরের রসায়ন থেকে শুরু করে এই যুগলের পূর্ববর্তী জীবনের প্রাক্তন সম্পর্ক নিয়েও কাটাছেঁড়া চলতেই থাকে। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ছিল রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে, অন্যদিকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ছিল মনোজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে। যদিও, সেই সম্পর্কগুলির স্মৃতি দুজনের জীবনেই যথেষ্ট তিক্ত। নিজের প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে একটি অদ্ভুত স্মৃতির কথা সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন শোভন-প্রেয়সী।
একটি সাক্ষাৎকারে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মনোজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন তাঁদের দাম্পত্য জীবনের অশান্তি পৌঁছেছিল চরমে। তাঁর অবস্থা দেখে তাঁর এক সহকর্মী তাঁকে একটি বিশাল সুতোয় বাঁধা তাবিজ বা কবজ দিয়েছিলেন, যেটিকে বৈশাখী ‘গব্বর সিংয়ের বেল্টের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন। সেই বেল্টে বুলেটের জায়গায় ছিল ১৮টা তাবিজ। সেই তাবিজ ধারণ করার বিষয়ে মনোজিৎ মণ্ডলের মোটেই সমর্থন ছিল না। তিনি এটিকে প্রাচীনপন্থা বলে মনে করেছিলেন। পালটা বৈশাখী জানিয়েছিলেন যে, তাঁর পাশবিক রূপ দেখেই লোকজন বৈশাখীকে এসব ধারণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
অনেক মানুষই মনে করে থাকেন যে, বৈশাখী তাবিজ বা কবজ দিয়েই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিজের বশে এনে রেখেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, 'আমি একবার শোভনকে বলেছিলাম যে এসব পুরুষের জন্য আমার কবজ তাবিজ লাগে না। আমার মতো মেয়েরা একাই থাকতে পারে। বরং এঁদের দূরে রাখার জন্য যদি কোনও পাথর থাকে সেটা নিজের চারপাশে বিছিয়ে নেব।' পাশাপাশি, নিজের নিকটস্থ মানুষদের ভালো রাখার জন্যেই নিজেকে ভালো রাখতে হয় বলে জানিয়েছেন বৈশাখী।