রবিবার দিল্লির উদ্দেশ্যে বিমানে রওনা দিয়েছেন অরূপ চক্রবর্তী। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর দলের ১০০ জন কর্মীরা।
১৮তম লোকসভার প্রথম অধিবেশন বলসে চলেছে সোমবার। প্রথম দিনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ সাংসদের শপথ গ্রহণ হবে। ইতিমধ্যেই বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ রাজনৈতিক দলের নবনির্বাচিত সাংসদরা দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। বাদ নেই এই রাজ্যের সাংসদরাও। তবে বাঁকুড়ার সাংসদ তথা তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তীর কথা কিছুটা হলেও আলাদা। তিনি একা যাচ্ছে না। তাঁর সঙ্গে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন দলেরও ১০০ জন কর্মী। বলা যেতে পারে দলের কর্মীদের নিয়ে রীতিমত মিছিল করেই পার্লামেন্টে যাবেন অরূপ চক্রবর্তী।
রবিবার দিল্লির উদ্দেশ্যে বিমানে রওনা দিয়েছেন অরূপ চক্রবর্তী। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর দলের ১০০ জন কর্মীরা। অরূপ চক্রবর্তীর কথায় ভোটের আগে ও ভোটের দিন অনেক পরিশ্রম করেছেন তৃণমূলের কর্মীরা। তাদের সেই সম্মান জানাতেই দলের শত কর্মীকে সঙ্গে নিয়েই দিল্লি যাচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ। যদিও রাজ্যের ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। কারণ এর আগে ভোটে জেতার জন্য এমন নজরানা পায়নি কোনও দলের নেতা ও কর্মীরা।
যাইহোক এবার লোকসভা নির্বাচনে বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল বাঁকুড়া। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। প্রতিপক্ষ তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার ভোট প্রচারে গিয়েও স্থানীয় মানুষদের কাছে আসন ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। দীর্ঘ হাড্ডাহাড়ির লড়াইয়ের পর শেষ হাসি হাসের অরূপ। তিনি বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে ৩০ হাডার ভোটে জয়ী হয়েছেন। পাঁচ বছর পরে হারান আসন ফিরে পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই আনন্দের বহিঃপ্রকাশ এবার হবে দিল্লিতে। কয়েক দিন আগে থেকেই অরূপ চক্রবর্তী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন। তিনি দলের ১০০ কর্মীকে দিল্লিতে বিমানে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড়ও শুরু করেছিলেন। রবিবার দুপুরে বাঁকুড়ার একটি বেসরকারি পার্ক থেকে শতাধিক কর্মী নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন অরূপ। তাঁকে বিদায় জানাতেও উপস্থিত ছিলেন জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব। এলাকার নেতা কর্মীরা তাসা বাজিয়ে বাজি পুড়িয়ে বিদায় দেয় অরূপ ও দলের ১০০ কর্মীকে।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর সড়ক পথে অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমান বন্দরে যাবেন তৃণমূল কর্মীরা। সেখান থেকে বিমানে দিল্লি যাচ্ছেন তাঁরা। বিদায়ের আগে অরূপ জানিয়েছেন, 'দলের নেতা এবং কর্মীদের প্রবল পরিশ্রমের জন্যই আমি নির্বাচনে জয়ী হয়েছি। আমাদের এই জয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো তৃণমূল শিবির। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের নেতা-কর্মীরা চেয়েছিলেন, আমার শপথগ্রহণের দিন দিল্লিতে উপস্থিত থাকতে। তাঁরা নিজেরাই সেই সমস্ত ব্যবস্থা করেছেন। আজ আমার সঙ্গে একশো জন কর্মী বিমানে রওনা দিচ্ছেন।'