
Bankura News: গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে শালি নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। যারফলে গ্রামীণ সড়কের ওপর এক কোমর জল। বাঁকুড়ার সোনামুখীর সঙ্গে চার-পাঁচটি গ্রামের সাধারণ মানুষদের যোগাযোগের এক্ষেত্রে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করছে সাধারণ মানুষ। বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের কাশিপুর থেকে ধানশিমলা যাওয়ার রাস্তা বর্ষার জলে ডুবে বিপত্তি। একদিকে সোনামুখী ব্লকের শ্যামনগর, কুন্ডপুষ্করনী, কাশিপুর, সহ চার থেকে পাঁচটি গ্রাম। অন্যদিকে, ধানশিমলা সোনামুখী। মাঝখানে যোগাযোগ রয়েছে একটি গ্রামীন সড়ক। পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে শালি নদী।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে শালি নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ডুবেছে রাস্তা, চরম সমস্যায় সাধারণ মানুষ। সোনামুখীর দিকে রয়েছে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল সহ বাজারঘাট। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার ওপর এক কোমর জল। স্বাভাবিকভাবেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে এই এলাকায়। কেউ কেউ আবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে।
এই এলাকার সাধারণ মানুষরা অভিযোগ করে বলেন , ‘’চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যে কোনও মুহূর্তেই বিপদ ঘটনার ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে । প্রশাসনকে অতি দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন করছি ।''
অন্যদিকে, বহুবার রেল দফতরকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তিতে কয়েক হাজার নিত্যযাত্রী ও গ্রামবাসী। শিয়ালদহ থেকে হাসনাবাদ শাখার অন্যতম ব্যস্ত এবং জনবহুল স্টেশন এই চাঁপাপুকুর স্টেশন। চাঁপাপুকুর মেন রোড থেকে স্টেশন পর্যন্ত রেলের রাস্তা। রাস্তাটি প্রায় এক কিলোমিটার এর কাছাকাছি। এই স্টেশন থেকে ট্রেনে যাতায়াত করে সুদূর বাদুড়িয়া ব্লক, খোলাপোতা, ভেবিয়া, চাঁপাপুকুর সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ । সরকারি বেসরকারি কর্মচারী থেকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রী প্রতিনিয়ত এই রাস্তা দিয়ে গিয়ে ট্রেন ধরে। এবং ট্রেন থেকে নেমে তারা বাড়ি ফেরেন।
অভিযোগ, এই রাস্তা দীর্ঘ চার বছর ধরে এতটাই বেহাল অবস্থা যে বর্ষায় জল জমে নদীতে পরিণত হয়েছে । কোথাও হাঁটু সমান জল আবার কোথাও কোমর সমান জল । অটো বা টোটো গাড়িতে করে গেলেও এই গাড়ির ভেতরে পর্যন্ত জল ঢুকে যায় । আর এই জল শুধু রেল দফতরের এই রাস্তায় না। পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতেও জল আটকে আছে বাড়ির ভেতরে এবং গ্রামের ভিতরে ।
এই বিষয়ে এলাকার মানুষ এবং যাত্রীরা বহুবার রেল দফতরকে রাস্তা এবং রাস্তা সহ একটি ড্রেন তৈরি করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন বহুবার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও রকম হেলদোল নেই রেল দফতরের । রেলযাত্রী সহ এলাকার মানুষের দাবি, এই রাস্তাটি রেল দফতর অতি শীঘ্রই পুনরনির্মাণ করুক এবং উঁচু করুক। সঙ্গে পারলে একটি ড্রেনও তৈরি করুক জল যাওয়ার জন্য।
এমনকি স্থানীয় চাঁপাপুকুর পঞ্চায়েতের তরফ থেকেও রেল দফতরকে এই বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও উদাসীন রেল কর্তৃপক্ষ । আর এই কারণে প্রতি নিয়ত চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।