পঞ্চায়েত ভোটের সময় আইএসএফ নেতা আইসএফ নেতা খুন হয়েছিল। সেই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলামের জামিনের আবেদন নাকচ করল বারুইপুর আদালত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভাঙড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল লালাবাজারে। শুক্রবার আরাবুলকে আদালতে পেশ করা হয়। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করান তাঁর আইনজীবী। তবে বারুইপুর আদালত তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয়।
পঞ্চায়েত ভোটের সময় আইএসএফ নেতা আইসএফ নেতা খুন হয়েছিল। সেই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন আদালতে আরাবুলের আইনজীবী বলেন, সেই দিন তিন হাজার মানুষের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এই ঘটনায় প্রায় আট মাস পরে তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতা করা হয়েছে। তাঁর আইনজীবীর দাবি ঘটনার সময় ভাঙড় -২ নম্বর বিডিও অফিসে ছিলেন তাঁর মক্কেল। ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই আরাবুল ইসলাম জড়িত নয় বলেও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর সওয়াল ছিল ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে কেন আরাবুলকে গ্রেফতার করা হয়নি।
এদিন আদালতে আরাবুলের আইনজীবী সওয়াল করার সময় বলেন, তাঁর মক্কেল ভীষণ অসুস্থ। দীর্ঘদিন ধরেই চিকিৎসা চলছে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় আরাবুলকেও খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। গাড়িতে বোমা রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি তাঁর দাবি কলকাতা পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোজিতভাবে আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে হেফাজতে নিতে চাইছে। তাই তাদের আবেদন খারিজ করা হয়। তিনি আরও বলেন, অস্ত্র উদ্ধারের নামে আরাবুলকে ইচ্ছেকৃতভাবে হয়রানিও করা হয়েছে।
তবে পুলিশের আইনজীবী সওয়াল করেন, খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে আট মাস পরে। তিন হাজার মানুষ যারা ঘটনাস্থলে ছিল তাদের চালিত করছিলেন আরাবুল। এই ঘটনার তদন্ত হলে অস্ত্র উদ্ধার করা যাবে বলেও তিনি দাবি করেন।
দুই পক্ষের সওয়ালজবাবের পরই আরাবুল ইসলামকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল নেতাকে আদালতে হাডির করার নির্দেশও দিয়েছে। তবে হেফজতে থাকার সময় আরাবুলের শারীরিক পরীক্ষারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।