বাবা সিবি আনন্দ বোস যখন রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করছেন তখন অনেক দূরে প্রবাসে রয়েছে তাঁর ছেলে। যিনি আগামী দিনে গল্পকার হতে চান। পড়াশুনা করছেন অভিনয় স্কুলে। তিনি জানালেন ঠিক কেমন তাঁর আর বাবার সম্পর্ক।
প্রাক্তন আমলা সিভি আনন্দ বোস- বুধবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। তাঁরা গোটা দেশ এতদিন দাপুটে আমলা হিসেবে দেখেছে। এবার তাঁকে দেখবে নতুন ভূমিকায়। কিন্তু তার আগে আসুন আমরা জেনেনি সিভি আনন্দ বোসের ছেলের চোখে তাঁর বাবা ঠিক কি রকম। সিভি আনন্দ বোসের ছেলে বাসুদেব বোস। তিনি আগামীদিনে একজন গল্পকার হতে চান। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বাসুদেব বোস জানিয়েছেন, তাঁর বাবাই তাঁর একজন লেখক, কবি হওয়ার অনুপ্ররণা। তিনি আরও বলেছেন, 'শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগ তাঁর বাবা তৈরি করে দিয়েছেন।'
বাসুদের বোস, লস অ্যাঞ্জেলেস এর একটি অভিনয় স্কুলে পড়াশুনা করেন। তাঁর বয়স ২৫। ইতিমধ্যেই একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতে তিনি কাজ করেছেন। বাসুদেব জানিয়েছেন তাঁর বাবা তাঁর 'ফ্রেন্ড ফিলোজফার আর গাইড।' তিনি আরও বলেছেন, 'বাবা আমার সবকিছু।' এখানেই না থেকে বাসুদেব বলেছেন, তাঁর বাবা একজন অত্যান্ত দৃঢড় সংকল্পের মানুষ, যিনি নিজের লক্ষ্যে সর্বদা অবিচল থাকেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি তাঁর বাবাকে অত্যান্ত পরিশ্রম করতে দেখেছেন। তিনি আরও বলেন বাবার মতই তিনি পরিশ্রমী। বাবাকে দেখেই তিনি কাজে অনুপ্রাণিত হন। আনন্দ বোস পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
বাসুদেব আরও বলেছেন, 'আমার বাবা একজন লেখক কবি। তিনি শিল্পের একজন অনুরাগী। আমি বিশ্বাস করি এটি আমি তাঁর কাছ থেকেই পেয়েছি। আমাদের পরিবারের সঙ্গে শিল্পের যোগ দৃঢ়। নৃত্যশিল্প ও গায়ক সমৃদ্ধ পরিবার।' তিনি আরও জানিয়েছেন তাঁর গোটা পরিবার তাঁকে সর্বদা সমর্থন জানায়। আর সেইজন্য তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন। এদিন সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর ছোটবেলার কথাও বলেন। তিনি বলেন ছোট থেকেই তিনি বাবার সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসতেন। তবে তাঁর বাবা সেই সময় খুবই ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু যখন বাড়িতে থাকতেন তখন ছেলের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটাতেন বলেও জানিয়েছেন।
বাসুদেব জানিয়েছেন তিনিএকজন গল্পকার হতে চান। বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের মনকে তিনি অনুপ্রাণিত করতে চান। তিনি আরও বলেছেন, তিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ে থাকতে চান। কলকাতা তাঁর প্রিয় শহর বলেও জানিয়েছেন। কলকাতা তাঁর কাছে, সত্যজিৎ রায়ের শহর। এই শহরের সংস্কৃতি তাঁর মনে যে একটি আলাদা জায়গা করে নিয়েছে তা তিনি জানাতে ভোলেননি।
অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার সিভি আনন্দ বোসের কয়েকটি বই রয়েছে। সেগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সাইলেন্স সাইন্ডস গুড, ওয়াক দ্যা উইথ মিথ অ্যান্ড সায়েন্স- যা পুরাণ আর বিজ্ঞাণের মধ্যে সেতুবন্ধন করে।