৩১ জানুয়ারির মধ্যে…!বিরাট ঘোষণা মমতার! কয়েক মাসের মধ্যেই সিদ্ধান্ত! কী হতে চলেছে?
সোমবার বড় ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোন দফতরে কর্মীর সংখ্যা কত? চিঠি পাঠিয়ে জানতে চাইল মুখ্যমন্ত্রীর দফতর, নতুন নিয়োগ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে কর্মীদের মধ্যে। কী হতে চলেছে?
সরকারি (Government Job) হোক বা বেসরকারি, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে চাকরি জোগাড় করা হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো হয়ে গিয়েছে।
ঝুলি ভর্তি ডিগ্রি থাকলেও কাজ জোটাতে পারছেন না বহু যুবক যুবতী। হু হু করে বাড়ছে বেকারত্বের সংখ্যা। এই আবহে সামনে আসছে বড় খবর!
রাজ্যের কোন দফতরে কত কর্মী (Government Employees) রয়েছেন? এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) অধীনস্থ সকল দফতরের কাছে এই তথ্য চাইল কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর।
কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রয়েছে।
জানা যাচ্ছে, নতুন বছর পড়তেই সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফ থেকে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ বাকি দফতরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
কোন দফতরে কত সংখ্যক কর্মী কর্মরত রয়েছেন সেই তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
নবান্ন সূত্র উদ্ধৃত করে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিশেষ করে সচিবালয়গুলিতে আপার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট, লোয়ার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট, হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট ও সেকশন অফিসার পদে মোট অনুমোদিত পদ এবং সেখানে কতজন কর্মী কর্মরত রয়েছেন সেই তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
সেই পরিসংখ্যান জমা দেওয়ার সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) দফতরে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সেই তথ্য জমা করতে হবে।
এদিকে কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের তরফ থেকে এই তথ্য চাওয়া হতেই মাথাচাড়া দিয়েছে একাধিক জল্পনা। আচমকা কেন এই পরিসংখ্যান চাওয়া হল (Government of West Bengal)?
অনেকের মধ্যে উঁকি দিয়েছে এই প্রশ্ন। প্রশাসনিক মহলের একাংশের মতে, ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা ভোট রয়েছে। তার আগে হয়তো মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য প্রশাসনে নতুন কর্মী নিয়োগ করতে চান। সেই কারণে হয়তো এই তথ্য চাওয়া হয়েছে।
আধিকারিকদের একাংশের অনুমান, শূন্যপদে নিয়োগ নিয়ে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বড় ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।