দুই কিশোরী মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করল বিজেপির দুই সাংসদ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে আবারও সুর চড়াল বিজেপি। পাশাপাশি পৃথক দুটি ঘটনায় দুই কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনার সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে আর নিরাপদ নয় পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা।
দুই কিশোরীর মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে এক কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গত ২১ এপ্রিল সকালে ১৭ বছরের নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয় একটি খাল থেকে। অভিযোগ ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় নাবালিকার প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে ২২ এপ্রিল। অন্যদিকে ২৫ এপ্রিল মালদায় এক ১৫ বছর বয়সী নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে। কালিয়াচক থানার আকন্দবেড়িয়ার উজিরপুর গ্রামে থাকত মেয়েছিল। দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এই দুটি মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করছে বিজেপি।
বিজেপির বক্তব্য
ভারতীয় জনতা পার্টির হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন এই রাজ্যের নারীরা আর নিরাপদ নয়। রাজ্যটি ভারতের ধর্ষণের রাজধানীতে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। রাজ্য প্রশাসন নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ হয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়া উচিৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিজেপি নেত্রী আরও বলেছেন, 'তৃণমূলের শাসনে রাজ্যের আইন - শৃঙ্খলার পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে মহিলা হওয়া সত্ত্বেও মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি মা মাটি মানুষের স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। এই মা মাটি মানুষ সরকারের অধীনে কেবল রক্ত, গুলি আর সিন্ডিকেট রাজ চলছে। এই রাজ্যে মহিলাদের কোনও সম্মান নেই।'
বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, তৃণমূলের শাসনে এই রাজ্যে কেউ নিরাপদ নয়। এই রাজ্যে গুন্ডারাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন এই রাজ্যের পুলিশ রাজনৈতিক চাপের মধ্যে কাজ করছে। যারা অপরাধ করতে তারা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, অপরাধীরা জানে তাদের কিছুই হবে না। তিনি দুই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। বলেছেন, অপরাধীদের কঠোর শাস্তির প্রয়োজন হয়েছে। কিন্তু রাজ্য পুলিশের ওপর মানুষের বিশ্বাস নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কালিয়াগঞ্জের ঘটনার প্রতিবাদে এদিন ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। যাতে মিশ্র প্রভাব পড়েছে। তবে নাবালিকার মৃত্যুর পর থেকে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে রয়েছে।