বাংলার প্রতিটি কোণায় মানুষের অসুবিধার কথা জানতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে ‘দিদির দূত’-দের। এই প্রসঙ্গে এবার শাসক দলকে খোঁচা দিলীপ ঘোষের।
‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে গিয়ে বাংলার বহু জেলায় বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। এই প্রসঙ্গে এবার শাসক দলকে খোঁচা দিলীপ ঘোষের। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতির দাবি, বিজেপির ওপর ভরসা করে সাধারণ মানুষের ভয় কেটে যাচ্ছে। এই কারণেই তাঁরা আস্তে আস্তে তৃণমূল নেতাদের ওপর নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। আগামি দিনে এমন বিক্ষোভ আরও হবে বলে মনে করছেন তিনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মানুষের অসুবিধার কথা জানতে পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় যাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দিদির দূত।’ মানুষের সমস্যার কথা জেনে এসে শীর্ষ নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেবেন তাঁরা। এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন করতে গিয়েই ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের।
কুণাল ঘোষ, শতাব্দী রায়, অর্জুন সিং থেকে শুরু করে যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য পর্যন্ত দলের সর্ব স্তরের নেতানেত্রীরাই বিভিন্ন জেলায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। শুক্রবারও একই ঘটনা ঘটেছে অনেক জায়গায়। এবিষয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘আমরা মানুষকে বলেছি, আপনার বাড়ির টাকা, বাড়ির শৌচালয়ের টাকা, আপনার জলের কলের টাকা লুঠ হয়ে গিয়েছে। কে করেছে? তারাই আপনার বাড়ির সামনে আসছে।’ তিনি মনে করেন, মানুষ সবকিছুই জানত। কিন্তু, এতদিন ধরে কেউ কিছু বলতে পারেননি ভয়ের কারণে। এবার বিজেপি ভরসা দেওয়ায় মানুষ শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন।
এদিকে, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় যোজনার বাস্তবায়ন ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে বেশ কতগুলি কেন্দ্রীয় টিম। এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়ে দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, আবাস যোজনা থেকে শুরু করে সব কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে এ রাজ্যে। আর সেই টাকাতেই রমরমিয়ে বেড়েছে শাসক দলের নেতাদের সম্পত্তি। তাই সেই সব প্রকল্পের হিসেব কেন্দ্রের নেওয়া উচিত বলেই মনে করছেন তিনি।
আরও পড়ুন-
গত ৫৪ বছরে উষ্ণতার রেকর্ড গড়ল ২০২৩-এর মকর সংক্রান্তি, জাঁকিয়ে শীতের বদলে বৃষ্টির পূর্বাভাস
‘প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি নির্মাণ’ স্কিমটি ‘প্রচারের হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করছে রাজ্য সরকার, মারাত্মক অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর
বিরোধীদের দাবি ধোপে টিকবে না: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের নিশ্চয়তা দিলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর