শ্রীরামপুরে গণেশ পূজা মণ্ডপ উদ্বোধনে দিলীপ ঘোষের তৃণমূলকে কটাক্ষ শ্রীরামপুর পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে সুভাষ নগর হাউজিং কমপ্লেক্সে গণেশ পূজা মণ্ডপের উদ্বোধন করতে আসেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মোদীর সভায় কেন যোগদান করেননি সহ তৃণমূলের একাধিক ইস্যুতে সরব হন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ।
25
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে দিলীপের দাবি
এদিন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তুলতে সবাই উচ্ছ্বসিত হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন। তাই বলে কি প্রধানমন্ত্রী চোর হয়ে গেলেন? প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করার সাহস কারও নেই।”
35
নাম না করে জীবনকৃষ্ণকে কটাক্ষ
শুধু তাই নয়, তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, “তৃণমূলের বিধায়ক-সাংসদরা যদি চোর না হয়, তবে ইডি-সিবিআই কাদের বাড়িতে যায়? তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে যখন হানা হয়, তখন মোবাইল পুকুরে ফেলে দেয়। এর মানে কী? যদি সঠিকভাবে তল্লাশি চালানো হয় দেখবেন নোটের পাহাড় পাওয়া যাবে।''
রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি অভিযোগ করে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে বাংলার স্তর ভেঙে পড়েছে। মানুষ পথে নামতে বাধ্য হচ্ছে। ধর্ষিতাদের ন্যায় মেলে না, ধর্ষকরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। মমতাও বুঝে গিয়েছেন বাংলাদেশিদের আর বাঁচাতে পারবেন না। নকল ভোটারদের জোরেই এতদিন জিতেছেন, কিন্তু "SIR" চালু হলে আর নকল ভোট পাবেন না। তাই তৃণমূল এখন আতঙ্কে বেকায়দায় পড়েছে।”
55
দলবদলুদের কটাক্ষ দিলীপ ঘোষ
২২ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় তার অনুপস্থিতি নিয়েও এদিন মুখ খোলেন তিনি। বলেন, ‘’প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে কারা ছিলেন? ভালো করে দেখবেন, সবকটা দলবদলু। শুভেন্দু অধিকারী, তাপস রায়, অর্জুন সিং, সজল ঘোষরা। আর ক’টা নাম বলব! এঁরা বিজেপি? এঁদের দেখে মানুষ বিজেপি করতে আসবেন? এঁদের বিরুদ্ধেই তো বিজেপি লড়াই করেছিল। ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা কার্যত ফাঁকা থেকেছে।''