অভিজিৎ জানিয়েছেন, এর আগে তাঁর প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সামনাসামনি সাক্ষাৎ হয়নি। তাই শিলিগুড়ির জনসভা নিয়ে তিনি অভিভূত। তিনি শিহরিত হয়ে আছেন বলেও জানিয়েছেন
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় উপস্থিত থাকবেন বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সভা রয়েছে শিলিগুড়িতে। শনিবার সকালই তিনি উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ তিনি বাগডোগরা পৌঁছেযান। তাঁকে সঙ্গে করেই বিমান বন্দরে যান উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ।
অভিজিৎ জানিয়েছেন, এর আগে তাঁর প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সামনাসামনি সাক্ষাৎ হয়নি। তাই শিলিগুড়ির জনসভা নিয়ে তিনি অভিভূত। তিনি শিহরিত হয়ে আছেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'এই প্রথম আমি ওঁকে (মোদী)কাছ থেকে দেখব। অবশ্যই কথা বলার চেষ্টা করব।' এদিন অভিজিৎ বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে গেরুয়া শিবির ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করে। কিন্তু এটা ঠিক নয়। তিনি এর বিপক্ষে তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দেবেন বলেও জানিয়েছেন। এদিন তিনি বাগডোগরায় নেমে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির পক্ষে সওয়াল করেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি সন্দেশখালির কথাও তুলে ধরেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের না যাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে চাষের জমি মাত্র ২ বছরেই বদলে গিয়ে হয়েছিল ভেড়ি, ধরা পড়ল স্যাটেলাইট ইমেজে
শনিবার শিলিগুড়িতে মোদীর জনসভায় ভাষণ দিতে পারেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, অভিজিৎকে দলে পেয়ে তারা উপকৃত হয়েছেন। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আগামী দিনেই তাই করবেন। তিনি আরও বলেন, বিজেপিতে যোগদানের পর এটাই অভিজিতের প্রথম সভা। তাই স্বভাবতই তিনি এই সভায় উপস্থিত থাকবেন।
গত ৭ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দান করেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর একাধিক রায় যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয়েছিল রাজ্যসরকাকে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর পদক্ষেপ যথেষ্ট আলোড়ন তৈরি করেছিল রাজ্য। বিজেপি সূত্রের খবর তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়াই করতে পারেন।