সংক্ষিপ্ত
প্রক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্য চাকরিতে জট অব্যাহত । চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়ে ২০২৩ সালে তারা চাকরি পেতেন।
বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপির খাতায় নাম লিখিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারজন্য রাজ্যের শাসক দল তাঁর তীব্র সমালোচনা করে। বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেসও তাঁর সমালোচনা করেছে। কিন্তু এবার যে চাকরিপ্রার্থীদের কাছে তিনি মসিহা ছিলেন তারাও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন। অনেক চাকরিপ্রার্থী আবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্য চাকরিতে জট হয়ে রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ২০১৬ সলের নবম -দ্বাদশ বিভাগের এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা। মূলত এসএলেসটি প্রার্থীরা তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
এক চাকরিপ্রার্থী বলেছেন, প্রক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্য চাকরিতে জট অব্যাহত । তাদের দাবি, ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়ে ২০২৩ সালে তারা চাকরি পেতেন। কিন্তু অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে চাকরি জট আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর জন্যই তারা চাকরি পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন। তাঁদের অভিযোগ অভিজিৎ বিচারপতির চেয়ারে বসে বিজেপির নির্দেশ বা আদর্শে কাজ করেছে। রাজ্য সরকার এ স্কুল সার্ভিস কমিশন সদর্থক ভূমিকা নিলেও চাকরিটে জট অভিজিতের জন্যই হয়ে রয়েছে। স্কুলে চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ বিজেপিতে গিয়ে অভিজিৎ কাঁচা রাজনীতিবিদের মত কথা বলেছেন। বিচারপতি ও রাজনৈতিক সত্ত্বার মধ্যে চূড়ান্ত বিরোধ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁদের দাবি অভিজিৎ কাঁচা রাজনীতিবিদ।
যাইহোক আগামী ১১ মার্চ সোমবার বিকেলে ফের চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা দফতরের। সেই বৈঠকে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে উপস্থিত থাকলে পারেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। তিনিও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে নিশানা করেছেন। বলেছেন, আইনিজট পাকিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের সমস্যা বাড়িয়েছেন। আইনের চেয়ারে বসে বিজেপির নির্দেশে কাজ করেছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন, বিজেপির কাছাকাছা যাওয়ার জন্য এজাতীয় কাজ তিনি করেছেন।