আগামী ২৪ জুলাই দিনটি পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যসভা নির্বাচনের দিন হিসেবে ধার্য হয়েছে। ১৩ জুলাই শেষ হচ্ছে মনোনয়ন পর্ব। এই পরিস্থিতিতে রাজনীতির ময়দানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
আগামী অগস্ট মাসে বাংলা থেকে রাজ্যসভার ছয়টি আসন খালি হচ্ছে। বর্তমানে সেই আসনগুলিতে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের কাজ চলছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। তার ৫টিতে শাসকদল তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। ওই ৫টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল। একটি আসনে জয় নিশ্চিত বিজেপিরও। কিন্তু ওই এক আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি গেরুয়া শিবির।
আগামী ২৪ জুলাই দিনটি পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যসভা নির্বাচনের দিন হিসেবে ধার্য হয়েছে। ১৩ জুলাই শেষ হচ্ছে মনোনয়ন পর্ব। এই পরিস্থিতিতে রাজনীতির ময়দানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ৬ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে সম্ভবত রাজ্যসভার বিজেপির প্রার্থী হতে চলেছেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অনন্ত মহারাজ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক তাঁর বাড়িতে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার পরই সেই জল্পনা উস্কে ওঠে। সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক আবার অনন্তকেই প্রার্থী হিসেবে চেয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটের গণনা এবং ফলপ্রকাশ চলাকালীনই মঙ্গলবার বিকেলে অনন্তের বাড়িতে যান নিশীথ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মিনিট চল্লিশেক ছিলেন সেখানে। বেরিয়ে আসার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন অনন্ত।
১৯৮০ সালে বিজেপি গঠনের পর থেকে এই বাংলা থেকে প্রথম বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ পাবে। সেক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের ভূমিপুত্রকে সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠালে উত্তরবঙ্গে বিজেপির রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
অনন্ত এদিন বলেন, ‘‘আমার কাছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী একটা প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন। আমি তাতে সম্মতি দিয়েছি।’’ কী প্রস্তাব দিয়েছেন মন্ত্রী? অনন্ত বলেন, ‘‘কী প্রস্তাব সেটা আমি এখন বলব না।’’ উল্লেখ্য, বিজেপির একাংশ সূত্রের খবর, অনন্তর সঙ্গে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ফোনে দু’বার কথা হয়েছে অনন্তর। সেখানেই অনন্তর রাজ্যসভায় বিজেপির প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছেন তিনি।
বাংলার রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, অনন্তকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে এক দ্বিমুখী কৌশল নিতে চাইছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গের ২৩টি বিধানসভা ও ২টি লোকসভায় নির্ণায়ক শক্তি রাজবংশী ভোটাররা। এই বড় অংশের ভোটারদের মধ্যে অনন্তর প্রভাব রয়েছে। তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করা হলে রাজবংশী সমাজের কাছে ইতিবাচক বার্তা যাবে। সঙ্গে বাংলা থেকে বিজেপির প্রথম রাজ্যসভার সাংসদ উত্তরবঙ্গ থেকে হলে, লোকসভা ভোটে তার রাজনৈতিক ফায়দা মিলতে পারে।