'৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা জারির দাবি', ভোট সন্ত্রাস নিয়ে মমতার পরে রাজ্যপালকে দুষলেন শুভেন্দু অধিকারী

শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন রাজীব সিনহাকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করাই রাজ্যপালের সবথেকে বড় ভুল।

 

পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজ্যপালের কড়া সমালোচনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন বাংলা জ্বলছে পঞ্চায়েত ভোটে - এবার এই রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠানো উচিৎ রাজ্যপালের। তিনি যে জেলায় জেলায় ঘুরছেন তাতে কোনও লাভ হবে। তাঁর ভাষণেও কোনও লাভ হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস বুথ দখল করে দেদার ছাপ্পা দিচ্ছে। রাজ্যপালের শান্তির আবেদনে কোনও কান দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু। শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের দিন আবারও শুভেন্দু অধিকারা রাজ্যে ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা জারি করার দাবি জানান।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন রাজীব সিনহাকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করাই রাজ্যপালের সবথেকে বড় ভুল। তবে এখন আর কোনও সময় নেই। রাজ্যপালের এবার অ্যাকশান নেওয়ার সময় এসে গেছে। ভাষণ দেওয়ার সময় এটা নয় বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তিনি আরও বলেন,এখনও পর্যন্ত রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের বলি ১৫ জন। হিংসার ভোট হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন তাঁর উচিৎ ছিল রাজ্যের মানুষের জীবন রক্ষা করা , কিন্তু তিনি তা করতে পারেননি।

Latest Videos

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যের এই হিংসার পরে রাজ্যপালের আর ভাষণ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এবার রাজ্যপালের উচিৎ বাংলার হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি পাঠানোর। তিনি বলেন রাজ্যপালের এবার বলা উচিৎ 'বাংলা জ্বলছে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারার মাধ্যনে হস্তক্ষেপ করা উচিৎ।'

শুভেন্দু নন্দীগ্রামের ভোট প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন। তিনি বলেন, নন্দীগ্রামেও বুথ দখলের চেষ্টা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস , কিন্তু পাল্টা মানুষ পথে নেমে প্রতিহত করেছে। তিনিও ভোট দিয়েছেন বলে জানান। এর আগেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন বাংলার মানুষের কাছে মাত্র দুটো রাস্তা খোলা রয়েছে। একটা হল গণঅভ্যুত্থান। তারপরই তিনি কালীঘাট চলো অভিযানের ডাক দেন। তিনি বলেন 'গুলি করে করুন। প্রথমে ১০-২০ জন মরবে। কিন্তু তাহলে গোটা বাংলা বেঁচে যাবে। আমি সেই তালিকায় থাকতে রাজি আছি।' তারপরই তিনি দ্বিতীয় বিকল্পের কথা বলেন। শুভেন্দু বলেন, এছাড়া রাজ্যে ৩৫৬ অবথা ৩৫৫ ধারা জারি করার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া তাঁর সামনে আর অন্য কোনও বিকল্প খোলা নেই বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে তিনি দিল্লির প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন। বলেন, 'দিল্লির কে কী ভাববে, অন্য কে কী বলবে চা জানার দরকার নেই। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করার জন্য মন্ত্রিত্ব ছেড়ে এখানে এসেছি।' শুভেন্দু আরও বলেন, তিনি একটি কারণে দল বদল করছেন। একটি উদ্দেশ্য নিয়েও বিজেপিতে গিয়েছেন। তিনি আরও বলেন তাঁর মূল লক্ষ্যই হল বাংলাকে বাঁচানো। তার জন্য যা করার তিনি করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। পতাকা নিয়ে আন্দোলন করতে পারেন। পতাকা ছেড়েও তিনি আন্দোলন করতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পাশাপাশি আদালতে যাওয়ারও কথা বলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন 'এভাবে ভোট হতে পারে না।' সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে শুভেন্দু রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে থাকা সুপারি কিলার বলেও অভিহিত করেন।

 

Read more Articles on
Share this article
click me!

Latest Videos

‘কল্যাণবাবুর খাওয়া-বলা সব উল্টোপাল্টা’ সুকান্ত মজুমদারের ঝাঁঝালো টনিক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে
‘কী সাহস! বলছে রাম মন্দির ভাঙবে!’ মহারাষ্ট্রের মাটিতে বিস্ফোরক শুভেন্দু! | Suvendu Adhikari News
‘পুলিশ বিজেপি নেতাদের ছবি তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠায়’ মমতাকে তুলোধোনা করলেন সুকান্ত, দেখুন কী বললেন
ট্যাব কেলেঙ্কারিতে নয়া মোড়! এবার পুলিশের জালে দিনহাটার এক শিক্ষক, দেখুন | Bengal Tab Scam
'ভাইপোকে উপড়ে ফেলবো' রুদ্রমূর্তিতে শুভেন্দু অধিকারী | Suvendu Adhikari | BJP | TMC